শীতে পোষ্যদের সংক্রমণ রুখতে কী কী করবেন? ছবি- সংগৃহীত
এমনিতেই মা-বাবা হওয়া যথেষ্ট ঝক্কির। তার উপর আপনি যদি কোনও পোষ্যের অভিভাবক হন, তা হলে তো কথাই নেই। মনুষ্যসন্তান বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের সুবিধা-অসুবিধার কথা মুখে বলতে পারলেও এই চারপেয়ে সন্তানরা কিন্তু তাদের অসুস্থতার কথা মুখে বলে বোঝাতে পারে না। তাই তাদের শরীরের দিকে একটু বেশিই খেয়াল রাখতে হয়। আবহাওয়ার পরিবর্তনে যেমন মানুষের শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়, তেমন পোষ্যদেরও এই সময়ে অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। পশু চিকিৎসকদের মতে, আবহাওয়ার পরিবর্তন তো আটকানো যায় না। কিন্তু চারপেয়েদের সুস্থ রাখতে শীত পড়ার আগে থেকেই কিছু সচেতনতা অবলম্বন অবশ্যই করা যায়।
পোষ্যকে সুস্থ রাখতে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন?
১) পোকার হাত থেকে পোষ্যকে রক্ষা করা
এই সময়ে বাতাসে নানা রকম রোগ-জীবাণুর পরিমাণ যেমন বেড়ে যায়, তেমনই পোষ্যের ত্বকে পরজীবী আক্রমণের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। শীতকালে এমনিতে পোষ্যদের বেশি স্নান করাতে চান না অনেকে। নিয়মিত পরজীবীনাশক শ্যাম্পু ব্যবহার না করলে তাদের আক্রমণ ঠেকানো সম্ভব নয়। এক বার পোষ্যের ঘন লোমের পরতে যদি এই জাতীয় পরজীবী বাসা বাঁধে, তা নির্মূল করা মোটেও সহজ নয়। পরজীবীদের আক্রমণে পোষ্যদের জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
পোষ্যদের শরীরে কৃমির আক্রমণ খুবই সাধারণ একটি বিষয়। ছবি- সংগৃহীত
২) কৃমিনাশকের ব্যবস্থা করা
পোষ্যদের শরীরে কৃমির আক্রমণ খুবই সাধারণ একটি বিষয়। তাই নিয়মিত কৃমিনাশকের ব্যবস্থা করতেই হয়। তবে এই কৃমিরও বিভিন্ন ধরন আছে। সেই বুঝে নির্ধারণ করা হয় তার চিকিৎসা পদ্ধতি কেমন হবে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তা যথেষ্ট ব্যয়বহুলও। তাই পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া এবং সঠিক সময়ে টিকা নেওয়া আবশ্যিক।
৩) সময় মতো টিকা নেওয়া
প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সন্তান জন্মের পর পরই যেমন বেশ কিছু টিকা নিতে হয়, তেমন বাড়ির চারপেয়েদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি এক। কুকুরদের ক্ষেত্রে র্যাবিস, পার্ভো এবং বিড়ালদের ক্ষেত্রে প্যাঙ্কলিউকোপেনিয়ার টিকা দিয়ে থাকেন পশু চিকিৎসকরা। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শে থাকলে তাঁরাই বলে দেন কখন, কোন টিকা নিতে হবে।