ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হালের একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, কুকুরেরও শরীরেরও বাসা বাঁধতে পারে এই মারণরোগ। পোষ্যেরা কথা বলতে পারে না। ফলে তাদের শরীরের ভাল-মন্দের খেয়াল রাখার দায়িত্ব আপনারই। শরীরের অন্দরে কোনও সমস্যা হলেও পোষ্যটি তা প্রকাশ করতে ব্যর্থ। পোষ্যের শারীরিক গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা প্রয়োজন। পোষ্যের ক্যানসার হলে তার কিছু লক্ষণ শরীরে ফুটে বেরোবে। সেগুলি নজরে পড়লে ফেলে না রাখে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার ধরা পড়লে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকটা কম থাকে।
কোন লক্ষণগুলি জানান দেবে আপনার পোষ্যটি ক্যানসারে ভুগছে?
অস্বাভাবিক হারে ওজন হ্রাস
কোনও কারণ ছাড়াই পোষ্যের ওজন কমে যাচ্ছে? তা হলে কিন্তু তা চিন্তার বিষয় হয়ে উঠতে পারে। অনেকেই পোষ্য কুকুরটিকে নিয়মিত মাঠে দৌড়তে নিয়ে যান। পোষ্যকে ফিট রাখতে পশুচিকিৎসকের পরামর্শ মেনে অনেকেই একটি ডায়েট তৈরি করে নেন। কিন্তু তেমন কোনও বিষয় না হওয়া সত্ত্বেও ওজন কমতে থাকলে অতি অবশ্যই পোষ্যকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।
ছবি: সংগৃহীত
কাশি এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা
পোষ্য কুকুরের সর্দি-কাশির সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে কিন্তু ফেলে রাখবেন না। পোষ্যের ঠান্ডা লেগেছে মানেই তা ক্যানসারের লক্ষণ তা কিন্তু নয়। তবে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাস নিতে অসুবিধা, নাক থেকে জল পড়ার মতো কিছু সমস্যা যদি অনেক দিন ধরে থেকে যায়, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
অত্যধিক তৃষ্ণা এবং ঘন ঘন প্রস্রাব
সব সময় তৃষ্ণার্ত থাকাও ক্যানসারের একটি লক্ষণ হতে পারে। কয়েক মিনিট অন্তর অন্তর জল খাওয়া কিন্তু অস্বাভাবিক। সেই সঙ্গে বারে বারে প্রস্রাব করার লক্ষণ আসলে শরীরের অভ্যন্ত টিউমারের দিকে ইঙ্গিত করে।
পোষ্যের শরীরের গন্ধ
পোষ্যের শরীরে এমনিতেই একটা গন্ধ থাকে। প্রতি দিন না হলেও এক দিন অন্তর অনেকেই সাবান, শ্যাম্পু মাখিয়ে পোষ্যকে স্নান করান। স্নান করানোর পরও যদি শরীরের গন্ধ চলে না যায় তাহলে বিষয়টি একটু গুরুত্ব দিয়ে দেখুন। শরীরের কটু গন্ধ ক্যানসারের কারণে হতে পারে।