পাখিকে কী কী একেবারেই খাওয়াবেন না? ছবি: ফ্রিপিক।
নিজে যা খান, তা-ই পোষা পাখিকে খাওয়াচ্ছেন না তো? প্রজাতি ভেদে পাখিদের জন্য পুষ্টিকর খাবারের তালিকা কিন্তু আলাদা। খাঁচার পাখিরা খুব সংবেদনশীল হয়। তাদের ঠিকমতো যত্ন করা প্রয়োজন। বিশেষ নজর রাখতে হয় তাদের খাওয়াদাওয়াতেও। পাখির খাবারে যেন ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি৩, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড সঠিক মাত্রায় থাকে সেটা দেখা খুবই জরুরি। কিন্তু সব খাবার পাখির জন্য পুষ্টিকর নয়। কোন কোন খাবার ওদের জন্য চরম ক্ষতিকর তা জেনে রাখা ভাল।
পোষা পাখিকে কী কী খাওয়াবেন না?
অ্যাভোকাডো যতই দামি ও উপকারি ফল হোক না কেন, পোষা পাখিকে ভুলেও দেবেন না। অনেকেই পাখিকে নানা রকম ফলমূল খাওয়ান। তবে অ্যাভোকাডোর মধ্যে পার্সিন নামে এমন একটি উপাদান থাকে, যা পাখিদের শরীরে গেলে বিষক্রিয়া হতে পারে। ফুসফুসের রোগ দেখা দিতে পারে।
চকোলেট আপনার যতই প্রিয় হোক, পোষা পাখিকে একেবারেই খাওয়াবেন না। চকোলেটে থাকে থিয়োব্রোমাইন নামে এক ধরনের উপাদান, যা পাখিদের স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।
পাখিকে ভুলেও চা, কফি বা সোডা খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না। ক্যাফিন সামান্য পরিমাণে পাখির শরীরে গেলেও ওদের হৃৎস্পন্দনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
পেঁয়াজ ও রসুনও ওদের জন্য ক্ষতিকর। এগুলি খেয়ে ফেললে খাদ্যনালিতে সংক্রমণ হতে পারে।
আপনি নিজে সুগার ফ্রি দেওয়া খাবার খেলেও, পাখিকে তা দেবেন না। কৃত্রিম চিনি দেওয়া খাবারে জ়াইলিটল নামে একধরনের যৌগ থাকে যা পাখির রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে মানুষের মতো পাখিরও ‘হাইপোগ্লাইসেমিয়া’ রোগ হতে পারে।
কাঁচা মাশরুম, মধু, দুধ জাতীয় খাবার পাখিদের জন্য নয়। এইসব খেলে পাখির ডায়রিয়া, লিভার ফেলিয়োর হতে পারে।
খুব বেশি নুন দেওয়া খাবার পোষা পাখিকে খাওয়াবেন না। এতে ওদের কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।
আপনি কেমন পাখি পুষছেন সেই অনুযায়ী তার ডায়েট ঠিক করতে হবে। পাখিকে শস্যদানার মিশ্রণ, যেমন গম, ভুট্টা, ধান, তিল, তিসি, বাদাম, সূর্যমুখী বীজ দেওয়া যেতে পারে। পাখিকে পাকা পেঁপে, কলা, আপেলের টুকরা, জাম, লিচু ইত্যাদিও দেওয়া যেতে পারে। ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি৩ দরকার পাখির। প্রোবায়োটিকও দিতে হবে। সে জন্য কী ধরনের খাবার খাওয়াবেন তা পশু চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।