সন্তানের কান্না থামাতে তাকে ভোলাবেন কী বলে? ছবি: সংগৃহীত।
দুঃখ হোক বা অভিমান, রাগ বা ব্যথা পাওয়া। বড়রা রাগী মুখ করে চোখ বড় করে তাকালেও খুদেরা ঠোঁট ফুলিয়ে কান্না জুড়ে দেয়। অভিমান হলে নীরবেই চোখ দিয়ে জল পড়ে তার। কখনও পড়ে গিয়ে চোট পেলে বা কেউ জোরে ধমক দিলে উচ্চস্বরে শুরু হয় তার কান্না।
তবে খুদের চোখে জল দেখতে কারই বা ভাল লাগে? সেই সময় তাকে সামলানোও একটা বড় বিষয়। এমন সময়ে সহজ ভাবে কথা বলে, তার মন অন্য দিকে ঘুরিয়ে খুদেকে ভোলাতে পারেন।
১. সরাসরি কান্না থামানোর কথা না বলে, সন্তানকে গল্প বলার প্রলোভন দেখাতে পারেন। বলতে পারেন, ‘চলো তোমায় গল্প বলি। কোন গল্প শুনবে বল?’ তার পছন্দের কিছু কথা বললে, গল্প করলে ধীরে ধীরে তার মন অন্য দিকে চলে যাবে।
২. খুদেকে খেলার কথা বলেও ভোলাতে পারেন। বলতে পারেন, ‘বলো তোমার জন্য কী করব? চলো, আমরা একসঙ্গে খেলি।’ বা বলতে পারেন, ‘তোমার কী ইচ্ছে করছে বলো, সেটাই করব।’
৩. সহজ ভাবেই তাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন, কেন সে কাঁদছে? কী হয়েছে তার? সহজ কথোপকথনে জেনে নিতে পারেন, তার মনে দুঃখ কেন বা কোনও সমস্যা হয়েছে কি না।
৪. অনেক সময় শিশুরা কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি তোলে। বমি করে ফেলে। এমন সময় তাকে আগে শান্ত করা দরকার। খুদের কাছে গিয়ে বলুন, ‘এসো আমরা একসঙ্গে খেলা খেলি। জোরে শ্বাস নাও। আবার ছেড়ে দাও।’ এ ভাবে কৌশলে তাকে শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যয়াম করিয়ে তাকে শান্ত করে তার পর প্রশ্ন করে জানতে চেষ্টা করুন, তার কান্নার কারণ কী?
৫. খুদের মনের কষ্ট শুনে, আপনি যে সমব্যথী সেটি তাকে বোঝান। ‘তোমার খুব কষ্ট হয়েছে আমি বুঝতে পারছি’, এই ভাবে তার সঙ্গে কথা বলুন। যাতে সে মনের কথা আরও সহজ ভাবে বলতে পারে।
৬. সন্তানের কান্নার কারণ জেনে, তাকে বোঝান আপনি পাশে আছেন। প্রয়োজনে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিলেও তার মন ভাল হবে। সে সমস্যায় থাকলে মনে জোর পাবে।
৭. স্কুলে যখন শিশুরা যায়, তখন নতুন পরিবেশে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। কান্না যদি সে কারণে হয়, তাকে বলুন আপনিও তার সঙ্গে আছেন। একসঙ্গেই সমস্যার সমাধান করবেন।