ছোট থেকেই খুদের মধ্যে তার নিজের প্রতি বিশ্বাস তৈরি করা খুব জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
‘আমি পারব’— এই বিশ্বাসটুকু মনের ভিতর থাকলে অনেক কঠিন কাজ সহজ হয়ে যায়। আবার বিশ্বাস হারিয়ে গেলে সহজ কাজ করতে গেলেও বুকে ভয় চেপে বসে। ছোট থেকে বড় হওয়া, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যে কোনও শিশুকেই কমবেশি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সেই পরিস্থিতি সে কী ভাবে সামলাবে, তা অনেকটাই নির্ভর করে ছোট থেকে সে কতটা আত্মবিশ্বাসী বা স্বনির্ভর, তার উপর।
সন্তানকে আত্মবিশ্বাসী ও স্বাবলম্বী করার উপরেই নির্ভর করে তার ভবিষ্যৎ। তাই ছোট থেকেই অভিভাবকদের উচিত সেই পাঠ দেওয়া।
হবে না বলে কিছু হয় না
সন্তানকে বোঝাতে হবে, পারব না বা হবে না বলে কিছু হয় না। সমস্ত কাজ সহজ নয়। কিন্তু চেষ্টা করলে ঠিক পারা যাবে। তাকে বলতে হবে, যে কোনও কাজ করার আগে যেন ভাবে, সে পারবে। এই ভাবনাটা সন্তানের মধ্যে সঞ্চারিত করা উচিত। ছোট থেকে আত্মবিশ্বাসী হলে জীবনের অনেক পরিস্থিতি সে একলাই সামলে নিতে পারবে।
ভুল হলেও বকাঝকা নয়
খুদে ভুল করতেই পারে। তবে ভুলটা ঠিক করে দিতে হবে অভিভাবককেই। ভুল করলে প্রচণ্ড বকুনি না দিয়ে তাকে বোঝাতে হবে। ভুল করতে করতেই শিশু শেখে। ভুল করার ফলে বেশি বকাবকি করলে সে ভয় পেয়ে যেতে পারে। তার ফলে সেই কাজ করতে গেলে আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দেবে।
লক্ষ্য স্থির
ছোট থেকেই সন্তানকে তার জীবনে ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করার ব্যাপারে উৎসাহ দিন। সেই লক্ষ্যপূরণ কী ভাবে সম্ভব, তা নিয়ে আলোচনা করুন খুদের সঙ্গে। তবেই সে পরিশ্রম করতে শিখবে। জানবে, লক্ষ্যপূরণের আনন্দ ঠিক কেমন।
কথা বলতে দিন
সন্তানকে তার মনের ভাব তার মতো করে প্রকাশ করতে দিন। বাধা দেবেন না। কবিতা লেখা, ছবি আঁকা বা অন্য কোনও শিল্পের মাধ্যমে খুদেকে তার মতো করে মনের কথা বলতে দিন।
সিদ্ধান্ত নিতে দিন
খুদেকে বিভিন্ন সময়ে স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যপারে উদ্বুদ্ধ করুন। ছোটখাটো সিদ্ধান্ত নিজের মতো করে নিতে পারলেই ধীরে ধীরে তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। পাশাপাশি খুদেকে ছোট ছোট কাজ শেখালে সে ক্রমশ স্বাবলম্বী হতে শিখবে। নিজের কাজ নিজেই করতে পারবে।