Relationship Tips

ননদ রায়বাঘিনী হলেও বৌদির সঙ্গে সম্পর্ক হবে মধুর, মাথায় রাখুন ৫ টোটকা

সব সম্পর্কেরই আলাদা আলাদা সমীকরণ থাকে, একে-অপরের কাছ থেকে প্রত্যাশা থাকে। সেগুলি মাথায় রেখে যদি কয়েকটি বিষয়ে জোর দেওয়া যায়, তা হলে ননদ-ভাজের সম্পর্কও হবে বন্ধুর মতো।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৪৮
Share:

ননদ-ভাজের সম্পর্ক হবে সুখের। ছবি: সংগৃহীত।

বিয়ের পর নতুন বাড়িতে পা দেওয়ার পর যাঁকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত থাকেন নববিবাহিতারা, তিনি হলেন ননদ। বিয়ের আগে থেকে চেনাজানা থাকলে আলাদা কথা। তেমনটি না হলে ননদ ‘রায়বাঘিনী’ নয় তো, তা নিয়ে একটা চাপা উদ্বেগ কাজ করতে থাকে মনে। অধিকাংশ ধারাবাহিকে ননদের চরিত্রটিকে যে ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়, বাস্তবেও যে সব সময়ে এমন হবে, তা কিন্তু নয়। ননদ-বৌদির সম্পর্ক মানেই যে তা জটিলতায় মোড়া হতে হবে, সব সময়ে তেমনটা ধরে নেওয়াও ঠিক নয়। সব সম্পর্কেরই আলাদা আলাদা সমীকরণ থাকে, একে-অপরের কাছ থেকে প্রত্যাশা থাকে। সেগুলি মাথায় রেখে যদি কয়েকটি বিষয়ে জোর দেওয়া যায়, তা হলে ননদ-ভাজের সম্পর্কও হবে বন্ধুর মতো।

Advertisement

খোলাখুলি কথা বলুন

যে কোনও সম্পর্কে একে-অপরের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলা জরুরি। ননদ অথবা বৌদির সঙ্গে যদি বিয়ের আগে থেকে আলাপ না থাকে, তা হলে গল্পগুজবে কোনও লুকোছাপা না রাখাই ভাল। তবে তার মানে এই নয় যে, কোনও সীমা থাকবে না। আগে পরস্পরের সঙ্গে মিশুন, উল্টো দিকের মানুষটি কেমন তা বোঝার চেষ্টা করুন। তার পর বাকিটা এগোবেন।

Advertisement

মনোমালিন্য পুষে রাখবেন না

একসঙ্গে থাকতে গেলে মতের অমিল হবেই। ননদের কথা বৌদির পছন্দ হবে না। ননদের মনে হবে বৌদি ভুল বলছেন। এগুলি খুবই সাধারণ ব্যাপার। তবে মনোমালিন্যের কারণ যাই হোক, তা নিজের মনে জমিয়ে রাখবেন না। সরাসরি বলে দিন রাগের কারণটি। তা হলে দেখবেন সম্পর্ক অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।

বন্ধু হয়ে মিশে দেখতে পারেন

ননদ-বৌদির কাছাকাছি বয়স হলে সই পাতানো সহজ হবে। না হলেও অসুবিধা নয়। বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে বয়সটা কোনও বাধা নয়। একে-অপরের সমস্যার কথা জানতে পারলে নিজে থেকেই সমাধানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। তা হলে পরস্পরের প্রতি ভরসা বাড়বে, নির্ভরশীলতা তৈরি হবে।

একসঙ্গে সময় কাটান

দু’জনে এক বাড়িতে না থাকলেও মাঝেমাঝেই নিজেরা আলাদা সময় কাটাতে পারেন। কেনাকাটা করতে, সিনেমা দেখতে যেতে পারেন। দূরে সরে না থেকে মিশে দেখুন। তার জন্য সম্পর্কের উদ্‌যাপন প্রয়োজন। যত্ন নিলে সব সম্পর্কই স্বাস্থ্যকর হবে।

সম্পর্কে সীমা টানুন

অনেক সময়ে খুব বেশি আপন হয়ে উঠলে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। তাই দু’জনের মধ্যে একটা অদৃশ্য সীমা টেনে রাখুন। কোন কথা কতটুকু বলা যায়, তা ভেবে নিন। কোন কথায় উল্টো দিকের মানুষটির খারাপ লাগতে পারে, সেটাও মাথায় রাখা জরুরি। একেবারে ব্যক্তিগত কথাগুলি যতটা সম্ভব নিজের মধ্যেই রাখার চেষ্টা করুন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement