শহরের অলিগলিতে সেরা ফিশ ফ্রাইয়ের খোঁজ করতে হলে কোথায় ঢুঁ মারবেন, রইল তার হদিস। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোয় আড্ডা দেবেন আর সঙ্গে ভাজাভুজি থাকবে না, তাই কখনও হয় নাকি! চপ-কাটলেট পছন্দ করেন না, এমন বাঙালির হদিস পাওয়া মুশকিল। পুজোর সময়ে এক কাপ চা আর সঙ্গে গরম গরম ফিশ ফ্রাই পেলে পুজোর সময়ে সন্ধ্যার আড্ডা একেবারে জমে উঠবে। বিয়েবাড়ি হোক কিংবা ঘরোয়া কোনও অনুষ্ঠান— ফিশ ফ্রাই না হলে বাঙালির ভোজটা ঠিক জমে না।
ছোট-বড় রেস্তরাঁ, পুরনো কেবিন থেকে শুরু করে বাড়ির পাশের নয়া ক্যাফে— প্রত্যেকের মেনুতেই মিলবে এই ফিশ ফ্রাই। তবে আসল কলকাতা ভেটকি ব্যবহার করেন না অনেকেই। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাসা মাছ দিয়েই বানিয়ে ফেলেন ফ্রাই। যার স্বাদ তেমন ভাল হয় না। পুজোয় উত্তর থেকে দক্ষিণ— শহরের অলিগলিতে সেরা ফিশ ফ্রাইয়ের খোঁজ করতে হলে কোথায় ঢুঁ মারবেন, রইল তার হদিস।
১) আপনজন: কালীঘাটের কাছে এই ছোট দোকানটির ফিশ ফ্রাই এক বার খেয়ে দেখতেই পারেন। এই দোকানে ছোট, বড় বিভিন্ন মাপের ফিশ ফ্রাই পাওয়া য়ায়। মাছ বাছাই থেকে ফিলে করা, সবটা নিজেরাই করেন এই দোকানের কর্মচারীরা। মাছের মানের সঙ্গে কোনও রকম আপস করতে রাজি নন তাঁরা।
২) চিত্তদার সুরুচি রেস্টুর্যান্ট: শহরের সেরা ফিশ ফ্রাই নিয়ে কথা হবে, অথচ চিত্তদার কথা উঠবে না, তা কি করে হয়? ডেকার্স লেনের এই দোকানটির ফিশ ফ্রাই এক বার চেখে না দেখলেই নয়। ভেটকি মাছের গুণমান যেমন ভাল, তেমনই মুচমুচে। তাই সেরা ফিশ ফ্রাইয়ের খোঁজে এক বার ঢুঁ মারতেই পারেন এই দোকানে।
মিত্র ক্যাফের ফিশ ফ্রাই চেখে না থাকলে পুজোয় আড্ডার মাঝে এই খাবার মন্দ হবে না। ছবি: সংগৃহীত।
৩) শঙ্কর কেবিন: ঠাকুর দেখতে গড়িয়াহাটের দিকে গেলে শঙ্কর কেবিনের ফিশ ফ্রাই চেখে দেখতে ভুলবেন না যেন। গরম গরম ফিশ ফ্রাইয়ের সঙ্গে কাসুন্দি আর কাঁচা পেঁয়াজ বাড়িয়ে দেবে আপনার ঠাকুর দেখার আনন্দ। দোকানটি ছোট হলেও ফিশ ফ্রাইয়ের গুণমান নিয়ে কোনও কথা হবে না। বাইরের কোটিংটা মুচমুচে হলেও ভিতরের মাছ যেন মাখনের মতো।
৪) নিরঞ্জন আগার: গিরিশ পার্ক মেট্রো স্টেশন থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে নিরঞ্জন আগার। ১০০ বছরের পুরনো এই দোকানের ডিমের ডেভিলের জনপ্রিয়তা বেশি হলেও এখানকার ফিশ ফ্রাইও কিন্তু বেশ লোভনীয়। শহরের সেরা ফিশ ফ্রাইয়ের দোকানগুলির মধ্যে এই দোকানটিও রাখতে পারেন পছন্দের তালিকায়।
৫) ক্যাম্পারি: শহরের সেরা ফিশ ফ্রাইয়ের স্বাদ নিতে হলে রাসবিহারি অ্যাভিনিউয়ের এই দোকানটিকেও রাখতে পারেন পছন্দের তালিকায়। এখানকার ফিশ ফ্রাই কিন্তু স্থানীয়দের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। তাই গড়িয়াহাট চত্বরে ঠাকুর দেখতে হলে এই দোকান থেকে ঘুরে আসতেই পারেন। ফিশ ফ্রাই ছাড়াও ফিশ রোলটাও চেখে দেখতে পারেন।
৬) নব মালঞ্চ রেস্টুর্যান্ট: হাতিবাগানের এই ছোট দোকানটির ফিশ ফ্রাই সত্যিই চেখে দেখার মতো। এই দোকানের ফিশ ফ্রাইয়ের স্বাদ ভোলার নয়। ফিশ ফ্রাই ছাড়াও ফিশ কবিরাজি, ফিশ কাটলেটও চেখে দেখতে পারেন। রেস্তরাঁর অন্দরসজ্জা তেমন ভাল না হলেও খাবারের মান কিন্তু বেশ ভাল।
৭) নলবন ফুড পার্ক বার অ্যান্ড রেস্টুর্যান্ট: সল্টলেক সেক্টর ফাইভের এই রেস্তরাঁর ফিশ ফ্রাইও কিন্তু বেশ ভাল। দামও খুব বেশি না। সল্টলেকের দিকে ঠাকুর দেখতে হলে এই রেস্তরাঁ থেকে এক বার ঘুরে আসতেই পারেন। এই রেস্তরাঁয় ফিশ ফ্রাই ছাড়াও ফিশ পকোড়া, ফিশ ফিঙ্গারও বেশ ভাল, সেগুলিও চেখে দেখতে পারেন।
৮) মছলিবাবা: দেশপ্রিয় পার্ক, সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ কিংবা বেনটিক স্ট্রিট শহরের একাধিক জায়গায় রয়েছে এই রেস্তরাঁ। মাছেরই বিভিন্ন পদ বানানোর জন্য এই রেস্তরাঁ বেশ জনপ্রিয়। পুজোর সময়ে মছলিবাবার ফিশ ফ্রাইও চেখে দেখতই পারেন। দাম অনুযায়ী ফিশ ফ্রাইয়ের স্বাদ বেশ ভাল।
৯) ৬ বালিগঞ্জ প্লেস: খাঁটি বাঙালি খাবারের স্বাদ নিতে অনেকেই এই রেস্তরাঁয় ঢুঁ মারেন। তবে এখানকার ফিশ ফ্রাই বেশ ভাল। দাম একটু বেশি হলেও আসল কলকাতা ভেটকির স্বাদ পেতে এই রেস্তরাঁয় যেতেই পারেন।
১০) মিত্র ক্যাফে: শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে ছড়িয়ে রয়েছে এই দোকানের নানা শাখা। ভাজাভুজির জন্য ১০০ বছরের পুরনো এই দোকান বেশ জনপ্রিয়। এখনও এখানকার ফিশ ফ্রাই চেখে না থাকলে পুজোয় আড্ডার মাঝে এই খাবার মন্দ হবে না।