প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
প্রেমের শুরুতে আবেগ, অনুভূতি অনেক বেশি তীব্র থাকে। সঙ্গী হয় সর্ব ক্ষণের সঙ্গী। কাজের ফাঁকে হোয়াট্সঅ্যাপে কথা চালাচালি থেকে রাত জেগে গল্প— পরস্পর দূরে থেকেও এক সুতোয় জুড়ে থাকেন। মনের জমে থাকা কথারা সব যেন ডানা মেলে উড়ে সঙ্গীর কাছে পৌঁছয়। নিজের মানুষ পেয়ে উজাড় করে বলতে ইচ্ছা করে সব কিছু। তাতে অবশ্য দোষ নেই। প্রেমে যত কথার আদানপ্রদান হবে, একে অপরকে চিনে নেওয়া তত সহজ হবে। তবে তাই বলে সম্পর্কের শুরুতেই উল্টো দিকের মানুষকে কিছু তথ্য সম্পর্কে অবগত না করাই শ্রেয়। একসঙ্গে দীর্ঘ দিন পথ চললে এমনিতেই একে-অপরের ব্যক্তিগত পরিসরে প্রবেশ করতে হয়। সেই সময়ের জন্য অপেক্ষা করা জরুরি। কোন তথ্যগুলি প্রেমের সম্পর্কের শুরুতেই সঙ্গীকে জানিয়ে দেবেন না?
পাসওয়ার্ড
সঙ্গী বলে নয়, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা অন্যান্য সমাজমাধ্যমের পাসওয়ার্ড কারও সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া উচিত নয়। এই তথ্যগুলি একেবারেই ব্যক্তিগত। নিজের মনের মধ্যে রাখা জরুরি। প্রকাশ্যে না আনাই শ্রেয়। শুধু মোবাইল অ্যাপের পাসওয়ার্ড নয়, এটিএম পিনও কারও সঙ্গে ভাগ না করাই উচিত।
অর্থনৈতিক তথ্য
সম্পর্কের বয়স কয়েক মাস। অথচ এর মধ্যেই সঙ্গীকে জানিয়ে দিয়েছেন সঞ্চয়ের পরিমাণ, বিনিয়োগের তথ্য। এই ভুলটি না করাই শ্রেয়। এই বিষয়গুলিও অত্যন্ত ব্যক্তিগত। সেই ব্যক্তিগত পরিসরে সদ্য পরিচয় হওয়া মানুষটিকে টেনে না আনাই শ্রেয়।
নিরাপত্তাহীনতার কথা
ভালবাসার মানুষটিকে হারানোর ভয় থাকে সকলেরই। তবে সেই ভয়ের কথা সঙ্গীকে শুরুতেই না জানিয়ে দেওয়াই ভাল। সুস্থ সম্পর্কের জন্য এটুকু মেনে চলা জরুরি। আপনি যদি তাঁকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে থাকেন, তা হলে সেটা সরাসরি না বলাই শ্রেয়। তাতে উল্টো সমস্যা হতে পারে।
পারিবারিক সমস্যা
পারিবারিক জটিলতা, সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা অন্যতম জায়গা জীবনসঙ্গী। কিন্তু সম্পর্কের বয়স সে ক্ষেত্রে বিচার্য। কয়েক মাসের আলাপে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন ঠিকই। কিন্তু তাঁর সঙ্গে পারিবারিক সমস্যা নিয়ে কথা বলা যায় কি না, সেটা ভেবে দেখা জরুরি।
অফিসের জটিলতা
কর্মক্ষেত্রের সমস্যা থাকা অস্বাভাবিক নয়। কাজ করতে গেলে সমস্যা হবে। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে সুবিধা-অসুবিধা জীবনে আসা একেবারে নতুন মানুষটির সঙ্গে ভাগ করবেন কি না, সেটা একটু ভেবে দেখার বিষয়।