ফেব্রুয়ারি মানেই ভালবাসার মাস। ভালবাসা উদ্যাপনের সময়। সামনেই সরস্বতী পু়জো। বাঙালির ভ্যালেনটাইন’স ডে। আর তার হাতে গোনা কয়েকদিন পরেই ভালবাসার দিন। এই দিনে প্রিয় মানুষটিকে উপহার, ফুল ভরিয়ে দেন সকলেই। অনেকে আবার ভালবাসার আলাদা কোনও দিন হয় বলে বিশ্বাসই করেন না। তাঁরা বিশ্বাস করেন বছরের প্রত্যেকটি দিনই ভালবাসার দিন। এই তালিকায় এমন একজন নারী আছেন যাঁর কাছে প্রত্যেকটি দিনই প্রকৃত অর্থেই ‘ভালবাসার দিন’।
তাঁর অগণিত গুণমুগ্ধ অনুরাগীরা তাঁকে সব সময়ই ভালবাসায়, উপহারে, আনন্দে ভরিয়ে রাখেন। সেই প্রেমিকাও কিন্তু খালি হাতে ফিরে যেতে দেন না তাঁর প্রেমিকদের। তিনিও ভরসা দিয়ে, বিশ্বাস দিয়ে, আশ্বাস দিয়ে তাঁদের পাশে থাকেন। ভাল রাখার চেষ্টা করেন। কে এই ‘সর্বজনীন প্রেমিকা’?
ইংল্যান্ডের বাসিন্দা গোয়েনেথ লি। বিয়েতে তাঁর চরম অনিহা। তিনি কোনও বৈবাহিক সম্পর্কে বাঁধা পড়তে চান না। তার বদলে নিত্য নতুন প্রেমে পড়তে তাঁর বেশ লাগে।
তবে তাঁর প্রেমের মধ্যেও কিন্তু আছে একটি চমক। ৪৯ বছর বয়সি গোয়েনেথের প্রেমিকের তালিকা দেখলে বোঝা যাবে আসলে ‘পরকীয়া প্রেমে’র়় প্রতি বেশি আসক্তি তাঁর।
নিজে বিয়ে না করলেও তাঁর প্রত্যেকজন প্রেমিকই কিন্তু বিবাহিত। এবং গোয়েনেথের দাবি, তাঁর প্রেমিকদের স্ত্রীয়েরাই নাকি নিজেদের সম্পর্ক ভাল রাখতে তাঁকে তাঁদের স্বামীর সঙ্গে সময় কাটানোর অনুমতি দিন। অবাক হচ্ছেন?
গোয়েনেথ তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে বলেছেন, এক দিন এক মহিলা তাঁকে ফোন করে বলেন যে তাঁর স্বামীর ফোন ঘেঁটে গুইনেথের সঙ্গে কিছু ঘনিষ্ঠ বার্তালাপ খুঁজে পেয়েছেন। কিন্তু সেই মহিলা গোয়েনেথের উপর রাগ করার পরিবর্তে গোয়েনেথকে তাঁর স্বামীর সঙ্গে বেশি করে সময় কাটানোর কথা বলেন।
গোয়েনেথ বিশ্বাস করেন, তাঁর এই কার্যকলাপে সংসার ভেঙে যাওয়ার বদলে সাংসারিক বন্ধন আরও দৃ়ঢ় হয়। গোয়েনেথ আরও জানান, যে সব বিবাহিত পুরুষ তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে বিরক্ত, সেই সব পুরুষ তাঁর সংস্পর্শে এসে কিছুটা হলেও স্বস্তি পান। শুধু স্বামীদের সঙ্গেই নয়, তাঁদের স্ত্রী-দের সঙ্গেও পরবর্তীতে তাঁর ভাল একটি সম্পর্ক গ়়ড়ে ওঠে।
বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক জড়ালেও গোয়েনেথ কিন্তু কখনও তাঁদের বিয়ে করার জন্য চাপ দেন না। বরং তিনি বিবাহ-বহির্ভূত প্রেমিকা হয়েই থাকতে চান।
গোয়েনেথ জানান, অনেক বার এমন হয়েছে যে তাঁর প্রেমিকদের স্ত্রীয়েরা তাঁকে ফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংসার বাঁচিয়ে রাখার জন্য। কারণ গোয়েনেথের জায়গায় অন্য কেউ থাকলে হয়ত।