আপনার প্রিয় পোষ্যটি তার শ্রবণশক্তি হারিয়েছে কি না, তা বুঝতে হবে আপনাকেই। প্রতীকী ছবি।
বাড়িতে বিড়াল পোষেন অনেকেই। পোষ্যের যত্ন নেওয়া সহজ নয়। তারা যেহেতু শব্দের মাধ্যমে নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না, তাই তাদের প্রতি বাড়তি নজর রাখা প্রয়োজন। খিদে পাওয়া থেকে অসুস্থতা— সবটাই আপনাকে নজরে রাখতে হবে। বিড়ালদের যে শারীরিক অসুস্থতাগুলি দেখা দেয়, তার মধ্যে শ্রবণশক্তি হারানো অন্যতম। অনেক বিড়ালই আছে যারা বধির। এই বধিরতা শুধু শরীরে নয়, চাপ ফেলে তাদের মনেও। এ ক্ষেত্রে আপনার ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনার প্রিয় পোষ্যটি তার শ্রবণশক্তি হারিয়েছে কি না, তা বুঝতে হবে আপনাকেই। নয়তো চিকিৎসা শুরু করতে অনেক দেরি হয়ে যাবে। কিন্তু তা বোঝা সহজ নয় একেবারেই। পোষ্যের ভাবভঙ্গি, চলাফেরা আরও অনেক কিছু বিষয় খেয়াল করতে হয়।
পোষ্যের কোন লক্ষণগুলি বলে দেবে আপনার পোষ্য বিড়ালটি ক্রমশ তার শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলছে?
১) অনেক দিন থাকলে পোষ্যরা সাধারণত মালিকের গলার স্বর চিনতে পারে। তাদের ডাকলেও তারা আকারে-ইঙ্গিতে সাড়া দেয়। তাকিয়ে থাকে। তবে শ্রবণশক্তিজনিত কোনও সমস্যা দেখা দিলে কোনও ডাকই তাদের কানে প্রবেশ করে না। ফলে আপনি ডাকলে যে পোষ্যটি সাড়া দিত, শত ডাকাডাকিতে যদি তার কোনও প্রতিক্রিয়া তৈরি না হয়, তা হলে পশু চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।
২) পোষ্যটি ঘুমিয়ে রয়েছে। পাশেই থালবাসন পড়ে একটা বিকট শব্দ হল। এমন শব্দ শুনেও পোষ্যটি কি ঘুমিয়েই রয়েছে? তেমন হলে কিন্তু চিন্তার।
পোষ্যের ভাবভঙ্গি, চলাফেরা আরও অনেক কিছু বিষয় খেয়াল করতে হয়। প্রতীকী ছবি।
৩) একটা অনুভূতি হারালে, বাকি ইন্দ্রিয়গুলি সক্রিয় হয়ে ওঠে। আপনার পোষ্যটি কি গন্ধের অনুভূতি হঠাৎ করেই খুব সক্রিয় হয়ে উঠেছে? এমন হলে কিন্তু এক বার চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।
৪) পোষ্যরা খুব নিরীহ হয়। তাই বাড়িতে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার কিংবা মিক্সির মতো কোনও যন্ত্র চললে তারা এমনিতেই ভয় পেয়ে যায়। পোষ্যের সামনে তেমন শব্দ হওয়া সত্ত্বেও কি বিড়ালটি সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকছে? এমন হলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা জরুরি।