Relationship

৫০ পেরোনোর পর শারীরিক মিলনে কন্ডোম কি অপরিহার্য? সুরক্ষাহীন যৌনতা কি ক্ষতিকর?

প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছে এখনও অনেকেই যৌনতার সময়ে কম বয়সের মতো উত্তেজনা অনুভব করেন। কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চললে প্রৌঢ়ত্বেও যৌনজীবন সুখের হবে?

নিজস্ব সংবাদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২৩ ১৭:৫১
Share:

বয়স বাড়লে সঙ্গীকে নিবিড় করে পাওয়ার ইচ্ছা কমতে থাকে, এমন ধারণা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। ছবি: সংগৃহীত।

বয়স বাড়লে কি সঙ্গীকে নিবিড় করে পাওয়ার ইচ্ছা কমতে থাকে, এমন ধারণা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। কম বয়সের মতো সমান উত্তেজনা না থাকলেও সঙ্গীকে শারীরিক ভাবে কাছে পাওয়ার ইচ্ছা একেবারেই চলে যায় না। বয়সের সঙ্গে যৌনতায় আগ্রহ হারানোর সে অর্থে কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু সমীক্ষা জানাচ্ছে, বয়স ৫০ পেরোলে যৌনতায় অনীহা আসতে শুরু করে। কিন্তু তার মানেই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া বন্ধ করে দেন, তা কিন্তু নয়।

প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছে এখনও অনেকেই যৌনতার সময়ে কম বয়সের মতো উত্তেজনা অনুভব করেন। এতগুলি রজনী একসঙ্গে পার করে এসেও কিন্তু শরীরী উদ্‌যাপন হতে পারে উত্তেজনাময়। কী ভাবে তা সম্ভব?

তা়ড়াহুড়ো নয়

যৌনতায় উত্তেজনা থাকবেই। তবে বয়স বাড়লে সেই উত্তেজনায় খানিক রাশ টানা জরুরি। উত্তেজনার বশে যাতে কোনও সমস্যা না দেখা দেয়, সে বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি।

সুরক্ষা ছাড়া নয়

৫০ পেরোতেই অনেকেরই ঋতুবন্ধ হয়। ফলে কন্ডোম ছা়ড়া যৌনতায় অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও সুরক্ষাহীন যৌনতা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে। তাই কোনও রকম ঝুঁকি এড়াতে কন্ডোমের ব্যবহার অতি অবশ্যই জরুরি।

খুব বেশি বিরতি নয়

বয়সকালে ঘন ঘন যৌনমিলন এমনিতেও ঠিক নয়। একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর সঙ্গম স্বাস্থ্যকর। তবে এই বিরতি যেন দীর্ঘ না হয়। তাতে আবার যৌন আকাঙ্ক্ষায় ভাটা পড়তে পারে। বিরতির মেয়াদ কত দিনের হওয়া শ্রেয়, সে বিষয়ে কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

মানসিক তৃপ্তির উপর জোর দিন

শারীরিক চাহিদা থেকেই যৌন আকাঙ্ক্ষার জন্ম। যৌন চাহিদা পূরণ করার জন্য যে ধরনের শারীরিক সক্ষমতা প্রয়োজন হয়, বয়স বাড়লে সেই সক্রিয়তা কিছুটা কমে আসে। তবে মানসিক তৃপ্তিও এ ক্ষেত্রে জরুরি। তাই শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্পর্শও কিন্তু সমান ভাবে জরুরি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন