পোষ্যের সঙ্গে এক বিছানায় ঘুমোনোর অভ্যাস শরীরের জন্য ভাল না-ও হতে পারে। ছবি- সংগৃহীত
নিজের বিছানায় পোষ্যকে নিয়ে ঘুমোনোর অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। রাতবিরেতে হঠাৎ যদি তাদের কোনও অসুবিধা হয়, সে ক্ষেত্রে মধ্যরাতে ঘুম থেকে উঠতেই হয় পোষ্যের মালিককে। আর তাতেই নাকি অপর্যাপ্ত ঘুম, ঘুমের মধ্যে পায়ের পেশিতে টান ধরার মতো সমস্যা দেখা যায় পোষ্যের মালিকদের। অন্তত হালের গবেষণা সে কথাই বলছে।
‘হিউম্যান-অ্যানিম্যাল ইন্টার্যাকশন’ পত্রিকায় ৫০০০ জন পোষ্যের মালিকের উপর করা সমীক্ষা শেষে দেখা গিয়েছে, পোষ্য হিসাবে যাঁদের বাড়িতে কুকুর রয়েছে, সেই সব মালিকদের মধ্যেরাতে ঘুমোনোর সময় নাক ডাকার সমস্যা বেশি। আর যে সব মালিকদের পোষ্য বিড়াল, তাদের ঘুমের মধ্যে পায়ের পেশিতে টান ধরে বেশি। এ ছাড়াও রাতে ঘুমের মধ্যে হাঁটা, ঘুমে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, তাই ওষুধ খাওয়ার অভ্যাসও রয়েছে অনেকের।
যে হেতু কুকুর বা বিড়ালের মধ্যে নিশাচর প্রবৃত্তি আছে, তাই তাদের ঘুমের ধরন মানুষের চেয়ে খানিকটা আলাদা। তাদের নড়াচড়া, যে কোনও শব্দেই সজাগ হয়ে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। যা মানুষের ঘুমের চক্রের সঙ্গে একেবারেই মেলে না। গবেষক লরেন উইনেস্কি বলেন, “ঘুমের মান উন্নত করতে কিছু ক্ষেত্রে পোষ্যরা সাহায্য করলেও ঘুমের সময় কমে আসার জন্য কিন্তু দায়ী তারাই।” যদিও এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন লরেন।