মাসাবা ও নীনা।
যে সময়ে বিয়ে না করেই মাসাবাকে জন্ম দিয়েছিলেন অভিনেত্রী নীনা গুপ্ত, তখন বোধ হয় ‘সিঙ্গল মাদার’ শব্দটিও সে ভাবে প্রচলিত নয় দেশে। বাস্তবে একা মায়েদের দেখতে পাওয়া তো প্রায় যেতই না। তার উপর নীনার অল্প বয়স। পরিচিত মুখ। লোকের নিন্দার চিন্তা থাকার কথা ছিল। কিন্তু একা হাতে কন্যা মাসাবাকে বড় করেছেন। তাঁর শক্তি নিয়ে আজ বহু নারী ধন্য ধন্য করেন। কিন্তু পথটি সহজ ছিল না।
নীনার জন্মদিনে সে সব কথাই মনে করিয়ে দিলেন যেন মাসাবা। মায়ের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ঝরে পড়ল কয়েক লাইনের ইনস্টাগ্রাম-বার্তায়।
মায়ের বেশ কয়েকটি পুরনো ছবি অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন মাসাবা। তার সঙ্গেই লিখেছেন, ‘আমার বক্তব্য হল, এর চেয়ে বেশি শক্তিশালী কোনও মানুষকে খুঁজে দেখান। তিনিই শ্রেষ্ঠ!’
মায়ের জন্মদিন যেন মাসাবার কাছে সব সময়েই এক ছকভাঙা নারীকে উদ্যাপন করার দিন। বছর বছর মাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে এমনই কিছু কথা বলে থাকেন মাসাবা। এর আগেও তিনি মনে করিয়েছেন, এমন ছকভাঙা মানুষ বিশেষ দেখা যায় না। তাঁর মা লিঙ্গবৈষম্য কিংবা বয়সের বাঁধা ছক— কোনও কিছুই মানেন না। তাই তিনি আলাদা। এবং তিনি সেরা।
মায়ের জন্মদিনে মেয়ের আহ্লাদ দেখলে বোঝা যাবেই, নীনাকে নিয়ে কত গর্বিত মাসাবা। আর মা-মেয়ের সম্পর্কও যে এ ক্ষেত্রে বেশ উদ্যাপন করার মতো, তা বোঝাতেও কোনও ত্রুটি রাখেন না পোশাকশিল্পী মাসাবা।