প্রতীকী চিত্র।
সুখী দাম্পত্যের চাবিকাঠি কী? তার উত্তর হয়তো অনেকেরই অজানা। তবে সুখী জীবনের অন্যতম অঙ্গ হল সঙ্গীর সঙ্গে দৃঢ় মানসিক বন্ধন। নিরাপত্তা। নিশ্চয়তা। সম্পর্ক মানেই যে তাতে মানসিক সংযোগ দৃঢ় হবে, এমনটা নয়। তবে যে সম্পর্কে সেই নিশ্চয়তা থাকে, সেখানে দম্পতি যে সুখে থাকবেন, সে বিষয়ে দ্বিমত থাকতে পারে না।
সম্পর্ক মানসিক ভাবে দৃঢ় কি না বোঝার উপায় কী?
১. মনের মানুষের কাছে মনের কথা রাখঢাক না করে বলে ফেলা যায় কি? যে সম্পর্কে সেটা হয়, সেই সম্পর্কে অবশ্যই মানসিক সংযোগ থাকবে। শুধু মনের কথা বলা নয়, একে অন্যের প্রতি সম্মান সম্পর্ককে দৃঢ় রাখার অন্যতম শর্ত।
২. বিশ্বাস ও স্বচ্ছতা হল কোনও সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। যে সম্পর্কে এই দুইই আছে, সেই সম্পর্ক কিন্তু বাইরের আঘাতে চট করে ভেঙে পড়ে না।
৩. সুখী দাম্পত্য ও সুন্দর সম্পর্কের অন্যতম শর্তই হল একে অন্যকে স্বাধীনতা দেওয়া। ছাড় দেওয়া। বিশ্বাস-স্বচ্ছতার পাশাপাশি স্বাধীনতার বিষয়টি সুন্দর সম্পর্কে অত্যন্ত জরুরি। এক জন যদি প্রতি মুহূর্তে অন্যের কাজে হস্তক্ষেপ করে বা প্রতি পদে কাউকে জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হয়, তা হলে বুঝতে হবে কোথাও মানসিক নিরাপত্তার অভাব রয়েছে।
৪. একে অন্যের সঙ্গে মানসিক বোঝাপড়াটাও খুব জরুরি। কোনও সমস্যা হলে সঙ্গীর কাছেই কিন্তু অপর জন মানসিক নিরাপত্তা, আশ্রয় খোঁজে। বিপদের সময়ে এই ভরসার হাতটাই বুঝিয়ে দিতে পারে, সেই সম্পর্কে মানসিক নিশ্চয়তা কতটা।
৫. মতের অমিল যে কোনও সম্পর্কেই থাকে। ঝগড়া, মান-অভিমান না থাকলে বরং বুঝতে হবে সম্পর্কে শীতলতা তৈরি হয়েছে। তবে মতের অমিল নিয়ে প্রবল ঝগড়ার বদলে যদি দম্পতি বা যুগল একে অন্যের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেন, তা হলে বুঝতে হবে সেই সম্পর্কের বাঁধন মোটেই আলগা নয়।
৬. দোষে-গুণে মানুষ হয়। জীবনে চলার পথে কোনও ভুল করে ফেলতে পারেন সঙ্গী। সে নিয়ে চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণের বদলে একে অন্যকে সমর্থন করা, পাশে থাকা বুঝিয়ে দিতে পারে দু’জনের মধ্যে ভালবাসা কতটা।
জীবনে চলার পথে চড়াই-উতরাই থাকবেই। সেই পথে দু’জন যদি দু’জনের হাত ধরে থাকেন আপদ-বিপদে, যদি একসঙ্গে চলার মানসিকতা রাখেন, তবে বুঝতে হবে সেই সম্পর্কে মানসিক নিরাপত্তার অভাব নেই।