শীতের দিনে সারমেয়কে কী পরাবেন? ছবি:ফ্রিপিক।
শীতের দিনে নরম কম্বলের তলায় সেঁধিয়ে যেতে কার না ভাল লাগে? একই কথা কিন্তু পোষ্যের জন্যও খাটে। জাঁকিয়ে ঠান্ডা প়ড়লে কম্বলের ওম পছন্দ সারমেয়রও।
ঘরেই থাক বা বাইরে, ঠান্ডা অনুযায়ী পোষ্যকেও শীতের উপযোগী বিছানা, কম্বল দিতে হবে, পোশাক পরাতে হবে, বলছেন পশু চিকিৎসক দীপক সারস্বত।
কলকাতায় এখন হাড় কাঁপানো ঠান্ডা না পড়লেও, বহু জেলাতেই তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ কমছে। ঠান্ডায় সারমেয়কে নিয়ে হাঁটতে বেরোলে তাকেও পরাতে হবে শীতের পোশাক। কিন্তু কী পরাবেন তাকে? অনেকেই বাড়িতে থাকা সোয়েটার কুকুরকে পরান। পায়ে গলিয়ে দেন ঘরের মোজা। পশু চিকিৎসকের কথায়, ফ্লিস, উলের মিশ্রণ রয়েছে এমন কাপড়, থার্মাল পোশাক সারমেয়কে পরানো যায়। তা ছাড়া কুকরদের জন্য বিশেষ শীতপোশাক পাওয়া যায়।
সারমেয়কে হাঁটানোর জন্যও বাইরে বার করতে হয়। শীতের দিনে তাদের পায়েও ঠান্ডা লাগা স্বাভাবিক। সে ক্ষেত্রে কুকুরের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি জুতো পরানো যেতে পারে বলছেন দীপক। অনেকে পোষ্যকে নিয়ে পাহাড়ে বেড়াতে যান, যেখানে বরফ পড়ে। বরফে হাঁটাতে গেলে নির্দিষ্ট জুতো অবশ্যই পরাতে হবে। বলছেন পশু চিকিৎসক।
আর কোন বিষয়ে নজর দিতে হবে?
ঠান্ডা জাঁকিয়ে পড়লে পোষ্যের শোয়ার জায়গাটি নিয়ে ভাবার পাশাপাশি কম্বলও জরুরি। মেঝেতে শোয়ার ব্যবস্থা থাকলে পোষ্যের বিছানা হতে হবে বেশ পুরু এবং আরামদায়ক। মেঝে থেকে যাতে ঠান্ডা না ওঠে, সে জন্য বিছানার নীচে মোটা প্লাস্টিক বিছিয়ে দিতে পারেন। জানলার ধারে শোয়ার জায়গা হলে মোটা পর্দা দিয়ে জানলা ঢেকে দেওয়া প্রয়োজন। তার সঙ্গে পোষ্যের বিছানায় রাখা দরকার হালকা কম্বলও। সে যদি সোফায় বসে, সেখানেও কম্বল পেতে রাখতে পারেন। সারমেয়দের জন্য বিশেষ ধরনের কম্বল পাওয়া যায়। তবে ভারী কম্বল ঢেকেঢুকে দিলে পোষ্যের কষ্ট হতে পারে। সে দিকেও খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
জল: জল কম খেলে পোষ্যের শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। শীতের দিনে জল খুব ঠান্ডা হলে পোষ্য স্বাভাবিক ভাবেই তা খেতে চাইবে না। সে কারণে ঈষদুষ্ণ জল তাকে খাওয়ানো যেতে পারে। এ ছাড়া, তরল খাবারও তাকে দিতে হবে।