ফর্মের কারণে সমালোচনার মুখে রোহিত শর্মা (বাঁ দিকে) ও বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
জয় শাহের জুতোয় পা গলিয়েছেন তিনি। রবিবার সরকারি ভাবে ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন সচিব হিসাবে নাম ঘোষণা হয়েছে দেবজিৎ সইকিয়ার। দায়িত্ব নিয়েই ভারতের টেস্ট পারফরম্যান্সের দিকে নজর দিয়েছেন তিনি। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের খেলায় অখুশি নতুন বোর্ড সচিব। ভারতীয় ক্রিকেটে বদলের ডাক দিয়েছেন দেবজিৎ।
টেস্টে শেষ দু’টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় হেরেছে ভারত। দেশের মাটিতে নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে চুনকাম হওয়ার পরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বর্ডার-গাওস্কর সিরিজ়ও হেরেছেন রোহিতেরা। এই প্রথম বার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে পারেনি ভারত। দু’টি সিরিজ়েই খারাপ খেলেছেন রোহিত ও বিরাট। লাল বলের ক্রিকেটে তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অবসরের জল্পনাও চলছে। এই পরিস্থিতি কী ভাবে সামলানো যাবে সে দিকেই নজর দেবজিতের।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সচিব বলেন, “গত দুটো টেস্ট সিরিজ়ে আমরা ভাল খেলতে পারিনি। গত দু’দিনে আমাদের অনেক কথা হয়েছে। যেখানে যেখানে আমাদের খামতি আছে, তা মেটাতে হবে। আমরা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছি। আশা করছি সমাধান বার হবে। ভারতের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য যা যা বদল করতে হবে, করব।”
তবে এখন সাদা বলের ক্রিকেটে মন দিয়েছে ভারত। চলতি মাসেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ও এক দিনের সিরিজ় রয়েছে। তার পরে ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আপাতত সেই দিকেই তাকিয়ে দেবজিৎ। একটি করে সিরিজ় ধরে এগোতে চাইছেন তিনি। দেবজিৎ বলেন, “সামনে ইংল্যান্ড সিরিজ় ও তার পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি রয়েছে। আপাতত সে দিকেই আমাদের নজর রয়েছে। এই দুটো সিরিজ়ে ভাল খেলতে হবে। আমরা একটা করে সিরিজ় ধরে এগোতে চাই। জয় শাহ যে কাজ করে গিয়েছেন, সেই কাজটাই আমি এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।”
শাহ আইসিসির চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সচিব হিসাবে কাজ সামলাচ্ছিলেন দেবজিৎ। তাঁকেই পাকাপাকি ভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন তিনি। আর কেউ মনোনয়ন জমা দেননি। অসমের দেবজিৎ অতীতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে চারটি ম্যাচ খেলেছিলেন। উইকেটরক্ষক ছিলেন তিনি। তবে মাত্র এক বছর ক্রিকেট খেলার পরেই ছেড়ে দেন। এর পর আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। ২৮ বছর বয়সে গৌহাটি হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করা শুরু করেন। তার আগে স্পোর্টস কোটায় নর্দার্ন ফ্রন্টিয়ার রেলওয়েজ় এবং রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় চাকরি করেছেন। ২০১৬ সালে ক্রিকেট প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হন। অসম ক্রিকেট সংস্থার সহ-সভাপতি হন। ২০১৯ সালে তিনি সচিব হন। এ বার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব হয়েছেন তিনি।