ছবি: প্রতীকী
একে অপরের প্রতি বিশ্বাস, শ্রদ্ধা এবং বোঝাপোড়ার অভাব হচ্ছিল। তাই বিবাহবিচ্ছেদ নিয়েছেন, এক সময়ে একই অফিসে কর্মরত সুমনা এবং আবির। এত দিন একসঙ্গে কাটানো সুখ-দুঃখের নানা স্মৃতি ভুলে একলা চলার সিদ্ধান্ত নেওয়া আবিরের পক্ষে সহজ ছিল না। বাইরে কাউকে বুঝতে না দিলেও মনের দিক থেকে একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। বিচ্ছেদের সময়টাতে একা লড়াই করলেও তার পরের সময়টায় দমবন্ধকর পরিস্থিতি কাটাতে মনোবিদের সাহায্য নিতে হয়েছিল তাঁকে। বেশ কয়েক বার নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময়েই আবিরের হাত ধরে, তাঁকে নতুন করে আশার আলো দেখিয়েছিলেন প্রথমা। প্রথমাকে ভাল লাগলেও হারিয়ে ফেলার ভয়ে মনের কথা মুখে আনেননি আবির। মনোবিদেরা বলছেন, পূর্বে খারাপ অভিজ্ঞতা অনেক সময়েই নতুন সম্পর্ক গড়ে ওঠার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই বিচ্ছেদের পরে নতুন সম্পর্কে যাওয়ার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
১) নিজের সঙ্গে সময় কাটান
সময় সবচেয়ে বড় ওষুধ। পুরনো ক্ষত সারাতে তাই নিজেকে সময় দেওয়া জরুরি। নিজের ভাল লাগা, মন্দ লাগা, পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে ভাবার পাশাপাশি এই সময়ে নতুন করে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার দিকেও মন দেওয়া উচিত।
২) কেন নতুন সম্পর্কে জড়াতে চান
ক্ষণিকের মুগ্ধতা না কি আজীবন নির্ভরতা, ঠিক কী কারণে আবার নতুন করে সম্পর্কে জড়াতে চাইছেন, সে বিষয়ে নিজের কাছে পরিষ্কার থাকা জরুরি। কিছু ক্ষণের জন্য আবেগকে দূরে সরিয়ে রেখে বাস্তবের মাটিতে পা রেখে নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন।
৩) বাস্তবের মাটিতে পা থাকুক
পূর্বের স্মৃতি মনে না রেখে তার থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়াই ভাল। বিচ্ছেদের পরে আবেগের বশে নতুন একটি সম্পর্কে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললে, তা নতুন কোনও সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
৪) বিচ্ছেদের ভয় কাটিয়ে উঠুন
এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন অনেকেই। বিচ্ছেদের কষ্ট, মানসিক যন্ত্রণা, আত্মীয়-অনাত্মীয়ের কটাক্ষ— এই সব থেকে জন্ম নেওয়া ভয়, গ্লানি নতুন সম্পর্কে জড়াতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। নতুন করে কারও সঙ্গে জড়ানোর আগে সেই ভয় কাটিয়ে ওঠা জরুরি।
৫) সম্পর্কে স্বচ্ছতা থাকা জরুরি
সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে দু’জনের মধ্যে স্বচ্ছতা থাকা জরুরি। পুরনো সম্পর্ক, বন্ধুবান্ধব, অভ্যাস— এ সব নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করলে, উল্টো দিকের মানুষটির সঙ্গে সম্পর্ক সহজ হতে পারে। আপনি আসলে কেমন, তা জানিয়ে দেওয়া আপনারই কর্তব্য। পাশাপাশি, উল্টো দিকের মানুষটি কেমন, তা জেনে নেওয়াও জরুরি।