মন উচাটন হলেও সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করুন। ছবি: সংগৃহীত।
একই স্কুলে পড়তেন দু’জন। সেই সময় থেকেই আপনি যে তাঁকে পছন্দ করতেন, তা টের পেতে দেননি। তার পর কলেজের পথেও বেশ কয়েক বার তাঁকে দেখে শিহরিত হয়েছেন। কিন্তু মুখ ফুটে মনের কথা বলতে পারেননি তখনও। ছোটবেলার ‘ক্রাশ’ যে কখন ভালবাসায় পরিণত হয়ে উঠেছে, তা বোঝার ক্ষমতাও ছিল না। বড় হয়ে যত বারই মনের কথা বলতে গিয়েছেন, তত বারই ভিতরে ভিতরে কেমন যেন সব গুলিয়ে গিয়েছে। আসলে অল্প বয়সের ভীরু প্রেম বোধ হয় এমনই হয়। কিন্তু বেশি দিন ধরে এমন অবস্থা চলতে থাকলে তো বিপদ! মনের কথা মুখে আনতে যদি দেরি হয়, তা হলে দু’জনে একসঙ্গে হাত ধরে ‘তিন ভুবনের পারে’ দাঁড়ানোর স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাঁচ টোটকায় এই জটিল সমস্যা সহজ হয়ে যেতে পারে।
কী করে তাকে বলব? ছবি: সংগৃহীত।
১) সঠিক সময় এবং স্থান বেছে নিতে হবে
সব কিছুরই সঠিক সময় থাকে। তাই মন উচাটন হলেও সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করুন। প্রথমে সাধারণ কিছু কথা বলে দু’জন সহজ হওয়ার চেষ্টা করুন। সঙ্গী কেমন জায়গা পছন্দ করেন, সেই দিকেও নজর দেওয়া জরুরি।
২) আগে থেকে ভেবে রাখতে হবে
একেবারে ধরা দেওয়ার আগে, কী কী বলবেন তা ভাল করে গুছিয়ে নিন। আপনি উল্টো দিকের মানুষটির ব্যাপারে কী ভাবেন, তিনি আপনার কতটা জুড়ে রয়েছেন— এ সব শুধু জানলার ধারে বসে ভাবলেই হবে না। গুছিয়ে তাঁকে বলতেও হবে।
৩) দুর্বলতা ঢাকার প্রয়োজন নেই
আপনি যে আপনার সঙ্গীর প্রতি দুর্বল, তা জানানোর মধ্যে লজ্জার কিছু নেই। সঙ্গে উল্টো দিকের মানুষটি আপনার জীবনে কতটা প্রভাব ফেলতে শুরু করেছেন, পারলে তা-ও জানিয়ে দিন।
৪) শ্রদ্ধাশীল হতে হবে
ভাল লাগে বা পছন্দ করেন বলে কখনই নিজের সীমা অতিক্রম করবেন না। সঙ্গীকে যথাযথ সম্মান করতে না পারলে উল্টো দিক থেকে নিজেও সম্মান পাওয়ার আশা রাখতে পারবেন না।
৫) বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠতে হবে
যাঁকে ভাল লাগে, তাঁর বিশ্বাস অর্জন করতে না পারলে, ভাল লাগা বা ভালবাসা, কোনও কথাই বলা হয়ে উঠবে না। উল্টো দিকের মানুষটি যে আপনার কথায় বিশ্বাস রেখে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবেন, তেমন আশ্বাস আপনাকেই দিতে হবে।