সন্তানকে কী ভাবে দেবেন মূল্যবোধের পাঠ? ছবি- সংগৃহীত
বাড়ির সব চেয়ে ছোট সদস্যটির স্নান, খাওয়া, ঘুম— নিয়ে নিত্য দিন সমস্যা। হাতে ফোন না পেলে তাকে দিয়ে কিছুই করানো যাবে না। কান্নাও থামবে না। আবার তার চেয়ে একটু বড়টি স্কুলে যায়। কিন্তু খেলা থেকে পড়াশোনা— সবেতেই তার কম্পিউটার লাগে। আর ঘুমপাড়ানি গান নয়, মোবাইল ফোনে চোখ রেখেই সে স্বপ্নের জগতে পাড়ি দেয়। খেলার মাঠ, খেলনা-বাটি এই সব কিছু থেকেই তারা আজ দূরে। ব্রিটেনের হেলথ সার্ভিস রিপোর্ট বলছে, যে বয়সে সব চেয়ে বেশি মানসিক বিকার ঘটার কথা, অধিকাংশ শিশুই সেই সময়ে ডিজিটাল মাধ্যমের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে। এই ডিজিটাল যুগে জাগতিক কৃত্রিমতা এড়িয়ে শিশুদের বড় করে তুলতে গেলে কিছু বিষয় অভিভাবকদের মাথায় রাখা জরুরি।
১) নিয়মানুবর্তিতা
সন্তানকে নিয়ম নিষ্ঠা শেখানোর আগে, নিজেদের জীবনকে ইতিবাচক ছন্দে বেঁধে ফেলুন। ভুল করলে শাস্তি দেওয়ার বদলে, বুঝিয়ে বলুন। পড়াশোনার কাজে মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার এখন অত্যাবশ্যক। কিন্তু তা যেন কখনওই অভ্যাসে পরিণত না হয়।
২) পছন্দের গুরুত্ব
সন্তানের পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দিন। এই অভ্যাসের ফলে সে আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে উঠবে। ঠিক-ভুল বিচার করার সহজাত ক্ষমতাও গড়ে উঠবে।
৩) পথপ্রদর্শক
বাড়িতে হোক বা বাড়ির বাইরে, সন্তান সব চেয়ে বেশি অনুসরণ করে তার মা-বাবাকে। তাই অভিভাবক হিসেবে আপনি যা করবেন, সে-ও তাই শিখবে। মা-বাবার ইতিবাচক আচরণ, ব্যবহার সন্তানকে যথেষ্ট প্রভাবিত করে।
৪) বাড়ির পরিবেশ
মানসিক বিকাশের সময়ে বাড়ির পরিবেশও কিন্তু শিশুদের প্রভাবিত করে। কোন শিশু কেমন পরিবেশে বেড়ে উঠছে তা তার আচার-ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। কাজের বাইরে নিজেরাও যদি বাড়িতে ফোনের ব্যবহার বেশি করেন, আপনার দেখাদেখি শিশুটিও কিন্তু তাই শিখবে।
৫) দায়িত্ব নিতে শেখান
বাড়ির ছোট ছোট জিনিসের দায়িত্ব নিতে শেখান সন্তানকে। বয়সে ছোট বলে তাকে দূরে সরিয়ে রাখবেন না। বড় বয়সে যাতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তার জন্য ভিত মজবুত করতে হবে ছোট থেকেই।