বিচ্ছেদের মনেও প্রাক্তনকে ‘মিস’ করছেন? ছবি: শাটারস্টক।
দীর্ঘ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর অনেক সময়ই নানা কারণে সেই সম্পর্কে ইতি টানতে হয়। তখন সেই সম্পর্কের বাতাবরণ থেকে বেরিয়ে আসা সহজ নয়। দ্বিধা, সংশয়, মানসিক অস্থিরতার মধ্যে থাকেন অনেকেই। এমনও অনেকে আছেন, যাঁরা বিচ্ছেদের পর বছর গড়িয়ে গেলেও ভুলতে পারেন না নিজের প্রাক্তনকে। এই ক্ষত তাঁদের মানসিক ও শারীরিক উভয় ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কী ভাবে সেই ঘোর থেকে বেরিয়ে আসবেন?
১. বিচ্ছেদের পর সবার আগে প্রাক্তনের সঙ্গে সব রকম যোগাযোগ বন্ধ করে দিন। অনেকেই বিচ্ছেদের পর বন্ধুত্ব রক্ষার চেষ্টা করেন। কিন্তু মনে রাখবেন, প্রাক্তনকে জীবনের অংশীদার করার জন্য যে পরিণত চিন্তাধারা দরকার, তা সবার থাকে না। যোগাযোগ থাকলে সেই পিছুটান থেকে নিজেকে বার করে আনা মুশকিল হবে।
২. সম্পর্ক মানেই আগামীর প্রত্যাশা, কাজেই সম্পর্কভঙ্গ কখনওই সুখকর হয় না। এই সময় মন না চাইলেও চেষ্টা করুন, নিজেকে কোনও সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত রাখার। একা নয়, এই সময় পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বেশি করে সময় কাটান। নিজের পুরনো শখগুলিকে আবার করে জীবনে ফিরিয়ে আনুন।
৩. অনেক ক্ষেত্রেই কাছের মানুষের থেকে পাওয়া আঘাত রাগের জন্ম দেয়। রাগ থেকে জন্ম হয় ঘৃণার। কিন্তু এর কোনওটিই মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব একটা ভাল নয়। অনেকেই এই পরিস্থিতি একা সামাল দিতেন পারেন না। সে ক্ষেত্রে মনোবিদের সাহায্য নিতে দ্বিধা বোধ না করাই ভাল।
বিচ্ছেদের পর নিজেকে দোষারোপ করা বা নিজের খুঁত খুঁজে বার করার মানে নেই। ছবি: সংগৃহীত।
৪. বিচ্ছেদের পর নিজেকে দোষারোপ করা বা নিজের খুঁত খুঁজে বার করার মানে নেই। তার চেয়ে নিজেকে ভালবেসে গুছিয়ে নেওয়ার গুরুত্ব অনেক বেশি। মন ভাল করতে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন। দেখবেন পিছুটান থেকে অনেকটাই বেরিয়ে আসতে পারবেন।
৫. প্রাক্তন যদি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকেন, তা হলে তাঁকে সব জায়গা থেকে ব্লক করে দেওয়াই শ্রেয়। তাঁর ছবি, তাঁর রোজের কীর্তি আপনার ফোনে ক্রমাগত ভাসতে থাকলে তাঁর সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন না।