Benefits of Early Rising

ভোর ৫টায় ওঠার ৭ উপকারিতা, ছাত্রছাত্রীরা তাড়াতাড়ি দিন শুরু করলে কেন দ্রুত সাফল্য আসে

পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা? পড়া মনে থাকছে না? পড়তে বসলেই অন্যমনস্ক হচ্ছে মন। একঘেয়েমিও এসে যাচ্ছে। এই সব সমস্যা সমাধানের একটিই উপায় আছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২৪ ১৬:৪৩
Share:

ভোরে উঠলে জীবনে কী কী বদল আসবে। ছবি: সংগৃহীত।

পড়াশোনার জন্য ভোরবেলাই আদর্শ। বাড়ির বড়রাও পরামর্শ দেন, ভোর ভোর উঠে পড়তে বসলে পড়া নাকি তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়, মনেও থাকে। পড়াশোনায় যদি মনোযোগ বাড়াতে হয়, তা হলে প্রতি দিন একটি নির্দিষ্ট সময়েই পড়তে বসা উচিত। তার জন্য ভোরবেলার সময়টাই ঠিক বলে মনে করেন অনেকে। একাধিক গবেষণা বলছে, ভোর ৫টায় যদি ঘুম থেকে ওঠা যায়, তা হলে পড়াশোনা, শরীরচর্চার জন্য অনেকটা সময় পাওয়া যায়। পাশাপাশি, ভোরের ওই সময়টাতে চারপাশের কোলাহল কম থাকে। যে কোনও কাজেই মনঃসংযোগ বেশি করা যায়।

Advertisement

ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভোরে ওঠার সাত উপকারিতা

১) রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম ও ভোর ৫টায় ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করলে জীবনে শৃঙ্খলা আসবে। নিয়মানুবর্তিতা রপ্ত হবে স্বাভাবিক নিয়মেই। আর রোজের অভ্যাসকে নিয়মে বাঁধতে পারলে পড়াশোনাও গুছিয়ে ও মনোযোগ দিয়ে করতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা।

Advertisement

২) ভোরে নাগরিক কোলাহল কম থাকে। চারপাশের পরিবেশ শান্ত থাকে। তাই মন বিক্ষিপ্ত হবে না। পড়তে বসলেই একাগ্রতা আসবে। ভোরের সময়তেই কঠিন ও জটিল বিষয়গুলি নিয়ে চর্চা করলে তার সমাধানও বেরিয়ে আসবে দ্রুত।

৩) ভোরের বিশুদ্ধ বাতাস মন ও মেজাজকে তরতাজা রাখবে। ভোর ৫টায় উঠে যদি হাঁটাহাঁটি, জগিং করা যায় অথবা প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় কাটানো যায়, তা হলেই শরীরের পাশাপাশি মানসিক ক্লান্তিও দূর হবে। মনের চিন্তা, উদ্বেগ কমবে। ছাত্রছাত্রীরা নিয়ম করে ভোরে উঠে শরীরচর্চা সেরে নিয়ে যদি পড়তে বসে, তা হলে সাফল্য আর আটকায় কে!

৪) ভোরে উঠলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত, ভোরবেলায় মস্তিষ্ক সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। সৃজনশীল চিন্তাভাবনাও আসে। তাই এই সময়টাই যদি পড়াশোনার কাজে লাগানো যায়, তা হলে মেধা বাড়বে, বুদ্ধিরও বিকাশ হবে।

৫) সময়ের সঠিক ব্যবহার করা যায়। ভোরবেলা উঠলে অনেকটা সময় পাওয়া যায়। পড়াশোনা, শরীরচর্চার, মেডিটেশনের পাশাপাশি নিজের কিছু শখ থাকলে, তা পূরণ করার সময়ও থাকে। সামগ্রিক ভাবে নিজেকে সব দিক দিয়ে তৈরি করার ইচ্ছা ও আগ্রহ থাকে। ফলে আত্মবিশ্বাসও বাড়ে।

৬) সারা দিনের কাজ গুছিয়ে নেওয়া যায়। পরিকল্পনা মতো সময় ভাগ করে নিয়ে এগোতে চাইলে, ভোরে ওঠাই শ্রেয়।

৭) ভোরে উঠলে কখনওই হতাশা, অবসাদ আসবে না। পড়াশোনা, পরীক্ষা, স্কুল বা কলেজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যদি উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা থাকে, তা হলে তার সমাধান বার করতে ভোরেই উঠতে হবে। কারণ এই সময়তেই মস্তিষ্কে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা আসে। সঠিক সিদ্ধান্তও নেওয়া যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement