মেঘলা দিনে রথ উপলক্ষে কয়েক রকম ভাজা তো খেয়ে দেখাই যায়।
অতিমারির রথ অন্য রকম। মেলায় যাওয়ার উৎসাহ তেমন নেই।
বাইরে বেরিয়ে রথ টানা নেই। দেখা নেই। অনেকের বাড়িতে পুজোও হয়তো নেই। তাই বলে কি ভেস্তেই যাবে উৎসব? কোনও আনন্দই হবে না?
এমন কোনও দিনে বাঙালির সঙ্গী হতে পারে খাওয়াদাওয়া।
মেঘলা দিনে রথ উপলক্ষে কয়েক রকম ভাজা তো খেয়ে দেখাই যায়। কী খাবেন ভাবছেন? বর্ষার দিনে মুচমুচে পাঁপড়ভাজার মতো খাবার কিন্তু কমই আছে। আর পাঁপড় ছাড়া রথের দিনটা জমেও না। মেলায় গিয়ে পাঁপড়ভাজা না হয় খাওয়া হল না। তবে বাড়িতেই ভেজে নেওয়া যাক না কয়েকটি পাঁপড়।
পাঁপড়ভাজা আর বেগুনির পরে ভাজা মিষ্টিই চাই।
এটুকুতেই কি শেষ হয়ে যাবে উৎসব? তা কি কখনও হয়!
এমন উৎসবের বিকেলে আরও কয়েক রকম ভাজাভুজিও খেয়ে দেখুন রথের পাঁপড়ের সঙ্গে।
আর কী খাবেন ভাবছেন?
রথের দিনে খাজা খাওয়ার আনন্দই আলাদা।
বাড়িতেই পাতলা পাতলা করে কেটে ফেলুন বেগুন। বেসন গুলে, তাতে চুবিয়ে ভেজে নিন। নিজের হাতে তৈরি মুচমুচে বেগুনির সঙ্গেই বেসন গোলায় ডুবিয়ে ভেজে নেওয়া যায় লঙ্কা, টোম্যাটো, পেয়াঁজও। বিশেষ খাটনি নেই এতে। অথচ মেঘলা দিনে ঘরে বসেই আনা যায় উৎসবের আমেজ।
আর মিষ্টিমুখ কি হবে না? পাঁপড়ভাজা আর বেগুনির পরে ভাজা মিষ্টিই চাই। রথের দিনে জিলিপি আর খাজাই থাকুক শেষপাতে।