প্রতীকী ছবি।
প্রেমে পড়েছেন? সর্বক্ষণ সুশি-সুশি করে মন?
নিজেকে আটকে রাখার দরকার নেই। প্রেমে ভেসে যাওয়ার কারণও আছে অনেক। জেনে নিলে আর এ প্রেম থেকে দূরে রাখতে হবে না নিজেকে।
আমেরিকা হয়ে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার বহু যুগ আগেই এই খাদ্য জাপানে বিখ্যাত। জল দেওয়া ভাত আর তার ভিতরে মাছ। সঙ্গে টক-ঝাল সস্। এভাবেই সুশির যাত্রা শুরু। সময়ের সঙ্গে নতুন সব উপাদান যুক্ত হয়েছে। স্বাদ-গন্ধ-রূপ বেড়েছে। এখন এই খাদ্য দেশ-বিদেশের রসিকদের মধ্যে বিলাসিতার আর এক নাম।
কিন্তু রসনাতৃপ্তির পাশাপাশি খাদ্যগুণের জন্যও সুশি গুরুত্বপূর্ণ। কোন কোন দিক থেকে শরীরের উপকার করে এই খাবার?
প্রতীকী ছবি।
১) ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে সুশি। কী ভাবে? সাধারণত এমন খাবার খাওয়া হয় বিশেষ কোনও সময়ে। আর পাঁচজনের সঙ্গে রেস্তরাঁয় খেতে গেলে ভাজাভুজি বা পাঁউরুটির মতো কার্বোহাইড্রেটে পরিপূর্ণ খাবার অনেক বেশি খাওয়া হয়ে যায়। তার ফলে ক্ষতি হয় শরীরের। কিন্তু সুশি খেলে তাতে শুধু অল্প পরিমাণ ভাত আর মাছই মূলত থাকে। কোনওটিই সে ভাবে ক্ষতিকর নয় শরীরের জন্য। ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।
২) অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভর্তি এই খাবার। বিশেষ করে এর সঙ্গে যে সবুজ ওয়াসাবি খাওয়া হয়, তাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। খাদ্যে এই উপাদান উপস্থিত থাকলে অনেক দিক থেকে সুরক্ষিত থাকে শরীর। ক্যানসার থেকে হৃদ্রোগ, সবের থেকেই রক্ষা করে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।
৩) সুশিতে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। বয়সের সঙ্গে যে সব শারীরিক সমস্যা হতে পারে, তার অনেকটাই সামলে দেয় খাবারের এই উপাদান। অবসাদ বা অ্যাঝাইমার্স ডিজিজের মতো মানসিক অসুস্থতার আশঙ্কাও কমায় এই ফ্যাটি অ্যাসিড। শরীরের প্রদাহও কমায় এই উপাদান।
৪) প্রতিরোধশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে এই খাবার। সব রকম অসুখের সঙ্গে লড়ার জন্য শরীরে যথেষ্টা পরিমাণ ভিটামিন, ফসফোরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন। এই খাবারে সে সব উপাদানই একসঙ্গে উপস্থিত।
ফলে এর পরে কোনও দিন মন সুশি-সুশি করলে, দ্বিতীয়বার আর ভেবে দেখার প্রয়োজন নেই। বরং জানবেন, স্বাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যরক্ষাও হচ্ছে এর মাধ্যমে।