রসুনের মতো তার খোসাও কি খাওয়া যায়? ছবি: সংগৃহীত।
মরসুমি সর্দিকাশি, সংক্রমণজনিত রোগবালাইয়ের সঙ্গে লড়াই করতে হলে শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাল হওয়া প্রয়োজন। সেই কাজে সাহায্য করে রসুন। সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেন বহু পুষ্টিবিদ। কিন্তু রসুনের খোসা ছাড়ানো বেশ ঝক্কির কাজ। তাই খোসা সমেত রসুনই খেয়ে ফেলেন অনেকে। তাতে আদৌ কোনও লাভ হয় কি?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রসুনের মধ্যে যে উপাদানগুলি রয়েছে, পরিমাণে কম হলেও প্রায় সেই একই জিনিস রয়েছে খোসাতেও। অর্থাৎ সেগুলি একেবারে অকাজের নয়। তবে পুষ্টিবিদ বৃতি শ্রীবাস্তব বলেন, “ছোট রসুন খোসা-সহ খেলে পেটের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। কারণ, রসুনের খোসায় ফাইবারের পরিমাণ বেশি। অতিরিক্ত ফাইবার হজম করার ক্ষমতা সকলের থাকে না। ফলে গ্যাস, পেটফাঁপা, হজমের গোলামাল দেখা দিতে পারে।” তা ছাড়া আজকাল সব কিছুতেই কীটনাশক দেওয়া হয়। রসুনের খোসায় সেই সব বিষাক্ত কীটনাশক থাকতেই পারে। ভাল করে না ধুয়ে রসুন খেলে আরও বেশি সমস্যা হতে পারে।
রসুনের খোসা ফেলে না দিয়ে অন্য ভাবেও কাজে লাগানো যায়। রসুনের খোসা ভেজানো বা সেদ্ধ করা জল গাছের সার হিসাবে দারুণ কাজের।