হাসতে হাসতে চোখে জল? কারণটা কী? ছবি: সংগৃহীত
হাসি অনেক রোগের সমাধান। কিন্তু কান্না? তা কি রোগবালাই বাড়িয়ে দেয়? কী বলছে বিজ্ঞান?
হাসিকে কেন অনেক রোগের সমাধান বলা হয়, তা প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক। হাসার সময়ে শরীরে এন্ডোরফিনস নামক হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই হরমোন মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়। রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রাও স্বাভাবিক রাখে। ফলে শরীর সুস্থ হয়।
এই কারণেই হাসিকে অনেক রোগের সমাধান বলে ধরে নেওয়া হয়।
কিন্তু কান্না? হাসি এবং কান্নার পিছনে দুই বিপরীতধর্মী মানসিক অবস্থা কাজ করে। কিন্তু শরীরের উপর তার প্রভাবও কি বিপরীতধর্মী?
এমনটা কিন্তু বলছে না আমেরিকার সালুস বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ্যা বিভাগের গবেষণা। দেখা গিয়েছে, কান্নার সময়েও শরীরে তীব্র পরিমাণে এন্ডোরফিনসেরই ক্ষরণ হচ্ছে।
এর কারণ বলতে গিয়ে গবেষকেরা জানিয়েছেন, হাসি এবং কান্নার পিছনে মস্তিষ্কের একই অংশ কাজ করে। যতই এই দু’টির পিছনে বিপরীতধর্মী মানসিকতা কাজ করুক না কেন, মস্তিষ্কের একই অংশ এই আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করার কাজ করে।
চোখের জলে ক্ষতি হয়, নাকি লাভ?
আর সেই কারণেই প্রচণ্ড হাসার সময়ে কান্নার মতোই চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসে। এর উল্টোটিও ঘটে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। প্রচণ্ড শোক পেলে অনেকেই কাঁদতে কাঁদতে এক সময় হাসতে শুরু করেন। অনুভূতির বহিঃপ্রকাশে ভারসাম্যের অভাব হয়। এর কারণও এক। যেহেতু দু’টি অনুভূতিই মস্তিষ্কের একই অংশ থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়, তাই এই কাণ্ড!