ফুলের উপত্যকা, উত্তরাখন্ড।
যদি প্রকৃতিপ্রেমী হন আর ঘুরতে ভালবাসেন, তাহলে ভারতবর্ষের মতো আর দ্বিতীয় কোনও জায়গা পাওয়া অসম্ভব। পাহাড়, নদী, সমুদ্র বা জঙ্গল— সব কিছু সমৃদ্ধ করেছে এই দেশকে। আজ রইল এমন কিছু জায়গার সুলুকসন্ধান, যেখানে প্রকৃতি তার সবটুকু ঢেলে দিয়েছে অকৃপণ হাতে। বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করলেই বেরিয়ে পড়তে পারেন চরৈবেতি চরৈবেতি বলে।
১) ফুলের উপত্যকা: উত্তরাখণ্ডের নন্দাদেবী জীবমণ্ডলের কোলে এই জায়গাটির সৌন্দর্য অবর্ণনীয়। এক দিকে অসংখ্য ফুলের নৈসর্গিক শোভা, অন্য দিকে পাহাড়ের বিশালতা— সব মিলিয়ে আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য।
পিথোরাগড়, উত্তরাখণ্ড।
২) পিথোরাগড়: এটিও উত্তরাখণ্ডে। মানসসরোবর ও কৈলাশের যাত্রাপথে এটি পড়ে। এখান থেকে নন্দাদেবীর দর্শনও পাওয়া যায়। পাহাড়ের কোলে ছোট্ট এই পিথোরাগড়ের প্রকৃতি যেমন মনোমুগ্ধকর, তেমনই বৈচিত্রময়।
খাজ্জিয়ার, হিমাচলপ্রদেশ।
৩) খাজ্জিয়ার: হিমাচলপ্রদেশের কোলে অবস্থিত এই খাজ্জিয়ারকে বলা হয় ছোট সুইৎজারল্যান্ড। ঘন অরণ্য ও সবুজ উপত্যকায় ঘেরা এই অঞ্চলটি ভাল লাগবে অ্যাডভে়ঞ্চার-প্রিয় মানুষদেরও। এখানে করা যায় ট্রেকিং, প্যারাগ্লাইডিং, অশ্বারোহণ ইত্যাদি হয়।
নোহকালিকাই জলপ্রপাত।
৪) নোহকালিকাই জলপ্রপাত: পৃথিবীর আর্দ্রতম স্থান চেরাপুঞ্জিতে অবস্থিত এই জলপ্রপাত। ৩৪০ মিটার উঁচু নোহকালিকাই থেকে অঝরে বরফের মতো সাদা ফেনার ধারা মেঘালয়ের বড় আকর্ষণ।
স্নো ভ্যালি, কাশ্মীর।
৫) স্নো ভ্যালি, কাশ্মীর: ‘‘পৃথিবীতে যদি কোথাও স্বর্গ থেকে থাকে তাহলে তা এখানে, এখানে, এখানেই’’— কাশ্মীর নিয়ে এই কথাটি কে না শুনেছে। কারাকোরাম আর পির পাঞ্জাল পর্বতমালার মধ্যে অবস্থিত তুষারাবৃত স্নো ভ্যালিতে গেলেই উপলব্ধি করতে পারবেন এই কথাটির সত্যতা।
মুন্নার, কেরল।
৬) মুন্নার: যদি কেউ প্রক়ৃতির নিস্তব্ধতার কোলে কিছু দিন নিজের মতো কাটাতে চান, তা হলে কেরলের মুন্নার আপনার জন্য আদর্শ জায়গা। এখানে চা ও বিভিন্ন মশলাপাতিরও চাষ হয়।