মুকেশ অম্বানী। —ফাইল চিত্র।
শীঘ্রই বিবাহবন্ধনে বাধা পড়তে চলেছেন অনন্ত অম্বানী এবং রাধিকা মার্চেন্ট। অম্বানী পরিবারের তরফে তাঁদের বিয়ের প্রস্তুতি পর্ব ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। বিয়ের বাজার চলছে জোরকদমে। সম্প্রতি বারাণসী থেকে ঘুরে এলেন নীতা অম্বানী। সেখানকার কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরে অন্তন্তের বিয়ের প্রথম কার্ডটি মহাদেবকে উৎসর্গ করেন নীতা। সেখানে বেনারসি শাড়ির কারিগরদের থেকে শাড়িও কিনেছেন মুকেশ-পত্নী। তারই সঙ্গে আর পাঁচ জন পর্যটকের মতো দোকানে ঘুরে ঘুরে উপভোগ সেখানকার আঞ্চলিক খাবার চেখে দেখেন তিনি।
চাটের দোকানে সেখানকার স্থানীয়দের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতে দেখা যায় নীতাকে। একটি ভিডিয়োতে দেখা যায়, নীতা স্থানীয়দের জানাচ্ছেন তাঁর স্বামী মুকেশ কোন পদটি খেতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। নীতাকে বলতে শোনা যায়, তাঁর পরিবারের সকলেই বাড়িতে তৈরি খাবার খেতেই বেশি পছন্দ করেন। মুকেশ নাকি খুবই স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ। সপ্তাহে মাত্র এক দিনই তিনি বাইরের খাবার খান। তাঁর সবচেয়ে প্রিয় খাবার হল পানকি।
পানকি হল গুজরাতি পদ। মূলত চালের গুঁড়োর মধ্যে নুন, হলুদ, হিং, ধনেপাতা, বেকিং সোডা, দই আর জল মিশিয়ে একটি পাতলা মিশ্রণ করা হয়। তার পর একটি গোল করে কাটা কলাপাতার উপরে মিশ্রণটি ছডিয়ে আর একটি কলাপাতা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। তার পর তাওয়ায় অল্প তেল দিয়ে ভাল করে সেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে পানকি। বিভিন্ন প্রকার চাটনি আর ভাজা লঙ্কা দিয়ে পরিবেশন করা হয় এই পদটি।
পানকি হল গুজরাতি পদ। ছবি: শাটারস্টক।
পানকি কতটা স্বাস্থ্যকর?
এই পদটি মূলত কলাপাতার মোড়কে রান্না করা হয়। পানকিতে সরাসরি তেল দেওয়া হয় না, কলাপাতার উপরে সামান্য মাত্রায় তেল দেওয়া হয়। এ ছাড়া, কলাপাতায় রান্না করার জন্য এই খাবারটিতে ভাল মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও প্রবেশ করে। পানকি চালের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি হয়, তাই এটি সম্পূর্ণ গ্লুটেনমুক্ত একটি খাবার। এই খাবারে ক্যালোরির মাত্রার পাশাপাশি গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম থাকে। পানকি তৈরি করার সময়ে দইও ব্যবহার করা হয়। তাই পেটের জন্যও এই খাবারটি বেশ উপকারী। সব মিলিয়ে যাঁরা ওজন ঝরাতে চান, তাঁরাও ডায়েটে পানকি রাখতে পারেন।