রকমারি স্যালাড বানাবেন? তার আগে জেনে নিন কোন ফুলে স্বাদ নষ্ট হতে পারে? ছবি: ফ্রিপিক।
সকালের জলখাবার কিংবা ভাতের পাতে অনেকেই স্যালাড খান। সেই তালিকায় সাধারণত থাকে শসা, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা। কখনও কখনও যোগ হয় টম্যাটো, গাজরও।
কিন্তু যদি ভরপেট খাবারের বদলে রকমারি স্যালাড পাতে রাখতে চান, তা হলে এই পদটির এতটা সরলীকরণ করলে চলবে না। বরং একটি পদেই প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, খনিজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে মুরগির মাংস থেকে তোফু, বাদাম-সহ রকমারি উপকরণ দিয়ে স্যালাড বানানো যায়। স্বাদ এবং তৈরির কৌশল ভেদে তার নামগুলিও আলাদা হয়।
বাড়িতেই যদি সুস্বাদু, পুষ্টিকর স্যালাড বানাতে চান, তা হলে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতেই হবে।
১. স্যালাডে বিভিন্ন ধরনের সব্জি শুধু নয়, শাকও ব্যবহার হয়। প্রথমেই সেগুলি খুব ভাল করে ধুয়ে নেওয়া দরকার। কেউ কেউ কচি পালং, লেটুস স্যালাডে খান। এগুলি খুব ভাল করে ধুয়ে না নিলে স্যালাড থেকেই পেটের রোগ হতে পারে।
২. শাকসব্জিগুলি ধুয়ে শুকিয়ে তার পর স্যালাডে ব্যবহার করতে হবে। না হলে স্বাদেও তার প্রভাব পড়বে। সব্জিতে জল থাকলে স্যালাড খেতে কিন্তু ভাল লাগবে না।
৩. কী ধরনের স্যালাড বানাতে চাইছেন, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া দরকার। ইচ্ছামতো যে কোনও সব্জি প্রচুর পরিমাণে দিয়ে দিলে মোটেও তা সুস্বাদু হবে না। বরং কোন কোন সব্জির মিশেল ভাল লাগবে, তা বুঝে নিয়ে মাপমতো ব্যবহার করা দরকার।
৪. স্যালাডে প্রোটিন থাকা আবশ্যক। সে ক্ষেত্রে মাশরুম হোক বা মুরগির মাংস, যেটিই ব্যবহার করুন না কেন, কম তেলে, স্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্না করে নিন। অনেক সময় সেদ্ধ মাংস বা সেদ্ধ করা মাশরুম খেতে ভাল লাগে না। তার সঙ্গে নির্দিষ্ট স্স, রসুন এবং মশলা সহযোগে তা ‘রোস্ট’ করে নিলে বা নাড়িয়ে-চাড়িয়ে নিলে খেতে ভাল হয়।
৫. বিভিন্ন রকমের বীজ ব্যবহার করা হয় স্যালাডের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধিতে। অনেকে রকমারি ড্রাই ফ্রুট, বাদাম এতে ব্যবহার করেন। সে ক্ষেত্রে বীজ বা বাদাম শুকনো কড়াইয়ে নাড়াচাড়া করে নিলে স্বাদ বৃদ্ধি পাবে।
৬. স্যালাড যাতে খেতে ভাল হয়, সে জন্য রসুনকুচি, অলিভ অয়েল, মেয়োনিজ়, স্স-সহ বিভিন্ন রকম ড্রেসিং ব্যবহার করা হয়। স্যালাডের ড্রেসিংটি খুব ভাল ভাবে মেশানো প্রয়োজন। আর কোন ধরনের স্যালাডে কোন উপাদান মেশালে স্বাদ বৃদ্ধি পাবে, তা জেনে ব্যবহার করা প্রয়োজন।