বাস্তবের মনোজের জীবনের ‘পাণ্ডে’। ছবি: সংগৃহীত।
পর্দার ‘টুয়েলভথ ফেল’ মনোজ কুমার শর্মার আইপিএস হওয়ার লড়াইয়ে তাঁর বন্ধু পাণ্ডের অবদান কোনও ভাবেই অস্বীকার করার নয়। বন্ধু আইপিএস হোক, সেটা তিনি মনেপ্রাণে চাইতেন। সব সময়ে পাশে ছিলেন মনোজের। খারাপ পরিস্থিতি বন্ধুর দিকে নিজের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। কোনও পরিস্থিতিতেই হাত ছাড়েননি বন্ধুর। মনোজের লড়াইয়ের পাশাপাশি তাই বন্ধুর প্রতি পাণ্ডের এই ভালবাসা, আত্মত্যাগও দাগ কেটে গিয়েছে দর্শকমনে। এই কাহিনি অবশ্য মৌলিক নয়। অনুরাগ পাঠকের ‘টুয়েলভথ ফেল’ উপন্যাস অবলম্বনেই এই সিনেমা তৈরি করা হয়েছে। দ্বাদশ শ্রেণিতে ফেল করেও বাস্তবের মনোজ শর্মার আইপিএস হওয়ার ঘটনা অবলম্বনেই পরিচালক বিধু বিনোদ চোপড়া এই ছবি বানিয়েছেন।
পর্দার মনোজের মতো বাস্তবের মনোজের জীবনেও কিন্তু এক জন ‘পাণ্ডে’ আছেন। আর তিনি হলেন অনুরাগ পাঠক। বন্ধুর লড়াইকে দু’মলাটে বন্দি করেছেন যিনি। অনুরাগ এক জন লেখক। তাঁর গবেষণার বিষয়ও ছিল হিন্দি সাহিত্যে। ‘টুয়েলভথ ফেল’ তাঁর লেখা দ্বিতীয় বই। এর আগে তিনি ‘হোয়াট্সঅ্যাপ পার ক্রান্তি’ নামে একটি বই লিখেছিলেন। প্রথম বইটিও বেশ হইচই ফেলেছিল পাঠকমহলে। তবে তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে তাঁর এই দ্বিতীয় বইটি। অনুরাগের মনে হয়েছিল মনোজের লড়াই যদি তুলে ধরা যায়, তা হলে এমন অনেক মনোজ মনে জোর পাবেন। হেরে গিয়েও ফের ঘুরে দাঁড়াবার সাহস পাবেন। আর সেই উদ্দেশ্যেই আইপিএস মনোজ শর্মার জীবনী লেখার কথা ভাবেন। তবে এতটা সাড়া পাবেন, সেই বই নিয়ে সিনেমা হবে— এত কিছু তিনি ভাবেননি।
সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে বাস্তবের মনোজ এবং অনুরাগ নিজেদের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে কথা বলেছেন। মনোজ জানিয়েছেন, অনুরাগ পাশে না থাকলে তিনি সত্যিই হয়তো এত দূর পৌঁছতে পারতেন না। জীবনের প্রতিটি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পাশে পেয়েছেন অনুরাগকে। মনোজ আরও বলেন, ‘‘পর্দার মনোজের জীবনে প্রীতম পাণ্ডের যতটা অবদান, বাস্তবের মনোজের জীবনে অনুরাগের অবদান তার চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।’’