এই চুমু যেমন মানুষের পছন্দ হচ্ছে, তেমনই পছন্দ হচ্ছে জীবাণুদেরও। ছবি: সংগৃহীত
প্রেমের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে মাস্ক? প্রেমিক বা প্রেমিকার ঠোঁটে ইচ্ছে করলেই কি আর রাখা যাচ্ছে না ঠোঁট? অনেকের ক্ষেত্রে তেমন হচ্ছে বটে। কিন্তু অনেককে তাতেও দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না। মাস্কের উপর দিয়েই চলছে ঠোঁটে আদর। এই তালিকায় যেমন রয়েছেন জাস্টিন বিবার, তেমন রয়েছেন কমলা হ্যারিসও। কিন্তু এই ‘মাস্ক-চুমু’ আদৌ নিরাপদ কি?
‘পিডিএ’ বা ‘পাবলিক ডিসপ্লে অব অ্যাফেকশন’। সোজা কথায় লোকচক্ষুর তোয়াক্কা না করে, সকলের সামনেই প্রেমপ্রদর্শন। কিছু দেশে এ নিয়ে আইনি বিধিনিষেধ থাকলেও ইউরোপ বা আমেরিকায় এ সব নিয়ে অত ছুতমার্গ নেই। তাই সেখানে সকলের সামনে ঠোঁটে ঠোঁট রাখাটা বড় কোনও কথা নয়। কিন্তু মাস্ক পরে এই কাজ করা মুশকিল। আবার সংক্রমণের ভয়ে মাস্ক খোলাও মুশকিল। ফলে মাস্কের উপর দিয়েই অবাধে চলছে আদর। ২৭ বছরের জাস্টিন বিবার যেমন সকলের সামনে স্ত্রী হেইলে-কে এই ভাবে আদর করে ফেললেন। রোড আইল্যান্ড যাওয়ার জন্য বিমানে ওঠার আগে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও একই ভাবে মাস্ক-চুম্বনে আবদ্ধ হলেন স্বামীর সঙ্গে। আর তাই দেখে সাধারণ মানুষও আরও একটু বলভরসা পেয়ে গেলেন। ওঁরা যদি পারেন, আমরাই বা নয় কেন? নেটমাধ্যম ভরে উঠল এই মাস্ক-চুমুর ছবিতে।
অতিমারির সময় এই মাস্ক চুমু কতটা নিরাপদ? চিকিৎসকেরা কিন্তু রে রে করে উঠছেন! তাঁদের কথায়, মাস্ক পরার উদ্দেশ্য হল জীবাণুদের মুখের বাইরে আটকে রাখা। মানে, মাস্কের বাইরের দিকে। সেখানে কোন ভাইরাস, কোন ব্যাকটিরিয়া আটকে আছে, তা আমরা জানি না। কিন্তু মাস্ক পরে চুমুর সময় শুধু আদর বিনিময় হচ্ছে না। মাস্কের বাইরে আটকে থাকা জীবাণুর বিনিময়ও ভাল পরিমাণে হচ্ছে। তার চেয়েও বড় কথা, আপনি মাস্ক পরে যাঁকে চুম্বন করছেন, তার মাস্কে হয়তো বিপজ্জনক কোনও জীবাণু ছিলই না। উল্টে আপনি তাঁকে খানিকটা বিপদ দিয়ে এলেন।
ফলে অতিমারির সময় খোলামেলা আদর দেখাতে যতই ইচ্ছে করুক না কেন, তা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। এমনটাই মত বিজ্ঞানীদের।