শিক্ষকতা ছেড়েছেন কুকুর বেড়ানোর ব্যবসার জন্য! যুবকের বার্ষিক আয় জানেন? ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
একটা সময় উচ্চশিক্ষিত হওয়া মানেই হয় চিকিৎসক আর না হয় ইঞ্জিনিয়ার! আর মোটা অঙ্কের টাকা মানেই আইটি সংস্থায় কাজ! তবে সময় বদলেছে। হালে কেবল আইটি ফার্মে কাজ করলেই মোটা অঙ্কের টাকা কামানো যায় এমনটা নয়। রূপটানশিল্পী, পোশাকশিল্পী, কনটেন্ট ক্রিয়েটর, সমাজমাধ্যম প্রভাবীরাও তাঁদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বেশ ভাল টাকা কামাচ্ছেন, এমন উদাহরণ ভূরি ভূরি। কখনও ভেবে দেখেছেন, কুকুরদের ঘোরানোও একটা কাজ হতে পারে? আপনার মনে হতেই পারে, এ আর এমন কী কাজ? অবসরে অতিরিক্ত টাকা কামানোর জন্য এখন তো অনেকেই দেখা যায় এই কাজ করতে। তবে আমেরিকাবাসী মাইকেল জোসেফ এই কাজ করেই বছরে ১ কোটি টাকা কামান।
ব্রুকলিনের বাসিন্দা মাইকেল আগে পেশায় ছিলেন শিক্ষক। বছরে তিনি ৩০ লক্ষ টাকা আয় করতেন। কুকুরদের সঙ্গে সময় কাটাতে তাঁর ভীষণ ভাল লাগে। সেই কারণে নেশাকেই পেশা বানিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা কামাচ্ছেন মাইকেল। নতুন পেশায় থেকে নিউ জার্সিতে একটি বাড়ি কিনে ফেলেন, একটা গাড়ি কিনে ফেলেন, ছেলেমেয়দের পড়াশোনার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা জমান এবং পরিবারের সঙ্গে ডিজ়নিল্যান্ডেও ঘুরে আসেন।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাইকেল জানান, তিনি ২০১৯ সাল থেকে এই পেশায় পুরোপুরি যোগ দিয়েছেন। স্কুলের চাকরি করার পাশাপাশি অতিরিক্ত আয়ের জন্যই প্রথমে এই কাজ শুরু করেন মাইকেল। ধীরে ধীরে এই কাজের জন্য বেশ প্রশংসা পেতে শুরু করেন। অনেকেই নিজেদের কুকুরকে মাইকেলের কাছে রেখে নিশ্চিন্ত বোধ করতে থাকেন। ধীরে ধীরে মাইকেলের গ্রাহকসংখ্যা বাড়তে লাগল। ভাল আয় হতেও শুরু করল। এক একটি কুকুরকে ৩০ মিনিট ঘোরানোর জন্য মাইকেল ২০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৬৩০ টাকা) নেন। নিউ জার্সিতে এই ব্যবসার জন্য বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন মাইকেল।