এই অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য ব্রায়েনকে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্য থাকতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
সকলেই চান নিজের বয়স ঠেকিয়ে রাখতে। চেহারায় যেন বয়সের ছাপ না পড়ে, চামড়ায় যেন ভাঁজ না পড়ে, সেই কারণে সালোঁয় গিয়ে অনেক টাকা খরচ করেন এমন লোকের সংখ্যাও কম নয়। সম্প্রতি বায়োটেক সংস্থার পঁয়তাল্লিশ বছরের সিইও বয়স কমানোর জন্য যা করলেন, তা নিয়ে নেটপাড়ায় চর্চা তুঙ্গে।
লস এঞ্জেলসের নিউরোটেকনোলজি সংস্থা ‘কার্নেল’-এর সিইও ব্রায়েন প্রায় দুই বছর ধরে ‘প্রজেক্ট ব্লুপ্রিন্ট’ নামে একটি পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁর এপিজেনেটিক বয়স ৫ বছর কমিয়ে ফেলেছেন বলে দাবি করেছেন। তিনি ৩০ জন চিকিৎসকের তত্ত্বাবোধনে তাঁর শরীরের সব অঙ্গগুলির বয়স কমিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এক সাক্ষাৎকারে। ব্রায়েনের মতে, তিনি আঠারো বছর বয়সি এক জনের মস্তিষ্ক, হার্ট, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, পেশি, দাঁত, ত্বক, চুল, মূত্রাশয়, পুরুষাঙ্গ এবং মলদ্বার পেতে চান। আর এই জন্য তিনি প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয় করতে প্রস্তুত। এই অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য ব্রায়েনকে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্য থাকতে হবে। সকাল ৫ টায় ঘুম থেকে ওঠা, প্রতি দিন ঠিক ১,৯৭৭ ক্যালোরি মেপে ভেগান খাবার খাওয়া, উচ্চ তীব্রতা-সহ কঠোর শরীরচর্চার মধ্যে থাকতে হবে। মনের মতো শরীর পেতে ব্রায়েনকে বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে যেগুলি যন্ত্রণাদায়কও বটে। সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত রক্তপরীক্ষা, এমআরআই, আলট্রাসাাউন্ড ও কোলনোস্কপির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে ব্রায়েনকে। ব্রায়েনের শরীরে প্রতিটি অঙ্গের ছবি তুলে তাঁর নোট রাখা হয়। তার পেটের ছবি, চোখের পাতার দৈর্ঘ্য, প্রতি রাতে তাঁর লিঙ্গ কত বার উত্থিত হচ্ছে সেই হিসাবও রাখেন চিকিৎসকরা।
ব্লুপ্রিন্ট পরীক্ষার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বছর ঊনত্রিশের মেডিসিন চিকিৎসক অলিভার জোলম্যান। চিকিৎসার মাধ্যমে লোকের বয়স কমানো যায়, এটাই প্রমাণ করা তাঁর মূল উদ্দেশ্য। ব্রায়েনের সঙ্গে পরীক্ষাটি সফল হলে গবেষণা ক্ষেত্রে বড় সাফল্য আসবে।