ফাঁদে পা দিতেই ফাঁকা হয়ে গেল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ছবি: সংগৃহীত।
অনলাইন প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন এক ব্যক্তি। প্রতারিত ওই ব্যক্তি পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট। সারা জীবনের সঞ্চিত অর্থ হারিয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন ওই ব্যক্তি। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতি দিন প্রায় কয়েকশো এমন ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, অপরাধীদের ধরাও অনেক সময়ে সম্ভব হচ্ছে না। সতর্ক থেকেও যে এমন ঘটনা আটকানো যাচ্ছে, তা-ও নয়। মুম্বইতে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনা নতুন করে আশঙ্কার জন্ম দিচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, কিছু দিন আগে বিমানবন্দরের শুল্ক দফতরের কর্মী পরিচয় দিয়ে একটি ফোন আসে ওই ব্যক্তির কাছে। তাঁকে জানানো হয়, বিদেশ থেকে একটি পার্সল এসেছে তাঁর নামে। কিন্তু সেই পার্সেলে জাল পাসপোর্ট এবং টাকা পাওয়া গিয়েছে। হঠাৎই এমন ফোন পেয়ে স্বাভাবিক ভাবে ভয় পেয়ে যান তিনি। ওই ব্যক্তি জানান, তিনি এর বিন্দুবিসর্গ জানেন না। তাঁর কাছে কোনও পার্সেল আসার কথাও নয়।
ফোনের ও পাশ থেকে থেকে ভুয়ো পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি জানান, তাঁরা এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দিচ্ছেন। সেটা শুনে ওই ব্যক্তি কাকুতিমিনতি করে জানান, যে তিনি কালো টাকার ব্যবসা করেন না। তা সত্ত্বেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রায় ৭৫ শতাংশ টাকা তাঁকে পাঠানোর জন্য জোর করা হয়। সঙ্গে এই আশ্বাসও দেওয়া হয়, যদি এই টাকা সৎ পথে উপার্জন করা বলে তাঁদের মনে হয়, তা হলে ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।
নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আর কোনও উপায় না দেখে তিনি ২ কোটি টাকা পাঠিয়ে দেন। টাকা পাঠানোর মিনিট পাঁচেক পরে ওই নম্বরে ফোন করলে কেউ ফোন তোলেননি। তার পর থেকে অসংখ্য বার ফোন করেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। একটা সময়ের পর ফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার পরেই সন্দেহ হতে শুরু করে তাঁর। তিনি সঙ্গে সঙ্গে মুম্বই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ বিমানবন্দরে খোঁজ নিয়ে দেখে এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি।