অগ্নিকাণ্ড ঘটাল আরশোলা! ছবি: সংগৃহীত।
মধ্যরাতে হঠাৎ ঘরে আরশোলার উৎপাত। তা সামাল দিতে ঘরের আনাচ-কানাচে বাজার থেকে কেনা আরশোলা মারার স্প্রে ছড়াতে শুরু করেছিলেন বছর ৫৪-র এক প্রৌঢ়। ব্যস! কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিস্ফোরণ! ঘটনা জাপানের।
বছর ৫৪-র ওই প্রৌঢ় রাতে খাবার খাওয়ার পর শুয়ে পড়েছিলেন। নিস্তব্ধ হতেই আরশোলার দল বেরোতে শুরু করে। হেঁশেলের সিঙ্কে রাখা বাসনের উপর মনের সুখে ঘোরাঘুরি করে তারা। কিন্তু ঘটনার দিন হেঁশেল থেকে দলে দলে ঘরে হানা দেয়। চার দিকে উড়তে শুরু করে। তাদের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে আরশোলা মারার স্প্রে ছড়াতে শুরু করেন তিনি। বিস্ফোরণের আওয়াজ পেয়ে চমকে ওঠেন এলাকার মানুষ। কী হয়েছে, তা দেখতে মধ্যরাতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন অনেকে। তার পর ওই প্রৌঢ়ের বাড়ির জানলা এবং বারান্দা থেকে আগুনের হলকা বেরোতে দেখেই পুলিশে খবর দেন তাঁরা। সামান্য চোট-আঘাত লাগলেও প্রতিবেশীদের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে যান প্রৌঢ়।
সে দেশের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কীটনাশক স্প্রে থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা জাপানে নতুন নয়। জাপানের ক্রেতা সুরক্ষা কেন্দ্রে এই সংক্রান্ত বহু অভিযোগ জমা পড়েছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রচারও করা হয়। ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ রেখে তার পর এই ধরনের স্প্রে ছড়াতে বলা হয়। কারণ, এই সমস্ত স্প্রের মধ্যে অ্যালকোহল, প্রোপেলান্ট্স এবং বুটেলের মতো দাহ্য পদার্থ থাকে। তাই এই ধরনের স্প্রে থেকে অগ্নিকাণ্ড হওয়া অস্বাভাবিক নয়।