খালি পেটে মর্নিং ওয়াক করেন? ছবি: সংগৃহীত।
ব্যস্ত জীবনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত হাঁটাহাটি করেন। শুধু ওজন ঝরানো নয়, হার্টের অসুখ থেকে রক্তের শর্করা, খারাপ কোলেস্টেরল, আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যা বশে রাখতে হাঁটা ভাল। বেশির ভাগ মানুষই হাঁটার জন্য সকালের সময়টা বেছে নেন। ঠান্ডা, মনোরম পরিবেশে হাঁটতে মন্দ লাগে না। তবে অনেকেই মনে করেন, সকালে একেবারে খালি পেটে হাঁটতে যাওয়া একেবারেই উচিত নয়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, সকালের জলখাবার খাবার খাওয়ার আগে মাত্র আধ ঘণ্টা হাঁটলে বিপাকহার ভাল হয়। দ্রুত ফ্যাট ঝরায় এবং রক্তে ইনসুলিন হরমোন ক্ষরণের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।
সারা দিনের ব্যস্ততার মাঝে আলাদা করে শরীরচর্চা করার সময় না পেলেও হাঁটাহাটি তো করতেই হয়। অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে এই ব্যায়াম। দিনে ৩০ মিনিটের ব্রিস্ক ওয়াক, প্রায় ১৫০ ক্যালোরি ঝরাতে পারে। হাঁটার গতি যেমন হবে, মেদ ঝরার ক্ষেত্রেও তা তেমন প্রভাব ফেলতে। যোগ প্রশিক্ষকেরা বলছেন, শুধু শরীর নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যেও হাঁটাহাটি করা ভাল। উদ্বেগ, অবসাদ বশে রাখতে সাহায্য করে এই অভ্যাস। হাঁটার সঙ্গে শ্বাস-প্রশ্বাসের ছন্দ যদি মিলিয়ে ফেলতে পারেন, সে ক্ষেত্রে ফুসফুসের কার্যক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলা সম্ভব।
শুধু তাই নয়, চিকিৎসকেরা বলছেন, নিয়মিত ব্রিস্ক ওয়াক করতে পারলে রক্তে ইনসুলিন ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য অবশ্যই ভাল। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে সামগ্রিক ভাবে হার্ট ভাল থাকে। যার ফলে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে এনডরফিন হরমোন। সেই হরমোনের উৎপাদন এবং ক্ষরণের হারও বাড়িয়ে তুলতে পারে।