প্রতীকী ছবি।
ব্যাটম্যানের গথাম শহরের পর এ বার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনেও ‘জোকার’-এর হানা। তফাৎ হল, এই ‘জোকার’ কোনও কাল্পনিক কমিকসের রক্তমাংসের চরিত্র নন, ১টি ট্রোজান ম্যালওয়্যার ভাইরাস। গুগল প্লে স্টোরে ৮টি অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ)-এর মাধ্যমে এই ভাইরাস স্মার্টফোনে হানা দিচ্ছে বলে জানিয়েছে পুণের সাইবার সুরক্ষা সংস্থা কুইকহিল সিকিউরিটি ল্যাবস। সংস্থার দাবি, স্মার্টফোনের অ্যাপগুলি থেকে এসএমএসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তথ্য হাতিয়ে বিনা অনুমতিতেই তাঁদের বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের ‘প্রিমিয়াম’ গ্রাহক করে দিচ্ছে ‘জোকার’।
সম্প্রতি এই অ্যাপগুলি চিহ্নিত করে তার মাধ্যমে ‘জোকার’-এর হানার কথা গুগলকে জানিয়েছে কুইকহিল। সংস্থার সতর্ককীরণ মেনে ওই ৮টি অ্যাপকে নিজেদের প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে দিয়েছে গুগল। গুগল জানিয়েছে, এই অ্যাপগুলি হল— অক্সিলিয়ারি মেসেজ, ফাস্ট ম্যাজিক এসএমএস, ফ্রি ক্যামস্ক্যানার, সুপার মেসেজ, এলিমেন্ট স্ক্যানার, গো মেসেজেস, ট্র্যাভেল ওয়ালপেপার্স এবং সুপার এসএমএস।
প্রসঙ্গত, ‘জোকার’-এর মতো ট্রোজান ম্যালওয়্যার গত ৩ বছর ধরেই গুগল প্লে স্টোরের অ্যাপগুলিতে ধরা পড়ছে। তবে নিজেদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে এই ৮টি অ্যাপকে গুগল প্লে স্টোরে চিহ্নিত করেছে কুইকহিল। এর পরই তৎপর হয়েছে গুগল। সাইবার সুরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অ্যাপগুলি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে থাকলে তা এখনই সরিয়ে ফেলা উচিত ব্যবহারকারীদের।
ডিসি কমিকসের সুপারহিরো ব্যাটম্যানের শহরে জোকারের গতিবিধি টের পেতে যেমন বেগ পেতে হত, এই ভাইরাসের ক্ষেত্রে অবশ্য তেমনটা হয়নি। কুইকহিল তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ‘জোকার’ প্রথমে এসএমএস, মোবাইলের কনট্যাক্ট লিস্ট এবং ডিভাইস ইনফো-র মাধ্যমে তথ্য চুরি করে। এই ৮টি অ্যাপ ইনস্টল করা মাত্রই প্রথমে সেগুলির থেকে নোটিফিকেশন ডেটা হাতাতে নোটিফিকেশন পাঠানোর অনুমতি চায় ‘জোকার’। সাধারণ ব্যবহারকারীরা ‘জোকার’-এর উপস্থিতির কথা না জানায় স্বাভাবিক ভাবেই তার অনুমতি দিলে অ্যাপগুলি নোটিফিকেশন থেকে এসএমএসের তথ্য চুরি করে নেয়। নোটিফিকেশনের অনুমতি পেলে এর পর কনট্যাক্ট লিস্টের অ্যাকসেস চায় ‘জোকার’। এর পর ফোন কল এবং তা ম্যানেজ করারও অনুমতি দিলে ব্যবহারকারীদের অজান্তেই তাঁদের বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের ওয়েবসাইটে প্রিমিয়াম গ্রাহক করে দেয় ভাইরাসটি। এর পর থেকে ব্যবহারকারীদের অজ্ঞাতেই কাজ করতে থাকে ‘জোকার’।