আমিনিয়া স্পেশাল ‘তন্দুরি চিকেন উইংগস’। — নিজস্ব ছবি।
কলকাতায় নাকি ঠান্ডা বেশি দিন থাকে না! এই বদনাম এ বার বোধ হয় আর থাকবে না। কারণ, এ বারের শীতের আমেজ বেশ ভালই টের পাচ্ছেন সকলে। তা ঠান্ডা থাকবে আর পাতে নানা রকম লোভনীয় পদ থাকবে না, তা হয় কি? খাদ্যরসিকদের কথা মাথায় রেখেই কলকাতার বেশ কিছু রেস্তরাঁ আনতে চলেছে শীতের সঙ্গে মানানসই বিশেষ কিছু খাবারের পদ। তাই আর দেরি না করে শীত থাকতে থাকতেই সেই সব পদ দেখে, চেখে আসতেই পারেন।
কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন? — নিজস্ব ছবি।
ঠান্ডা থাকতে থাকতেই কোথায়, কী কী খাবেন?
আমিনিয়া
এমনিতে বিরিয়ানি বা কবাবের জন্য বিখ্যাত হলেও এই শীতে আমিনিয়া নিয়ে এসেছে তাদের নতুন দু'টি পদ। ‘তন্দুরি চিকেন উইংগস’ এবং ‘মাটন শিক লখনৌয়ি’। গোলপার্ক, এসপ্ল্যানেড, বেহালা সমেত কলকাতা জুড়ে মোট ১০টি শাখা রয়েছে। সুবিধা মতো যে কোনও একটিতে চলে গেলেই হল।
ট্রাফিক গ্যাস্ট্রো পাব-এর 'গ্যাংস্টার র্যাপার'। — নিজস্ব ছবি।
ট্রাফিক গ্যাস্ট্রো পাব
কোনও এক সপ্তাহান্তে বিকেলবেলা ঢুঁ মারতেই পারেন রাজারহাটের সিটি সেন্টার ২-এর এই রেস্তরাঁয়। ১ ডিসেম্বর থেকে এখানে শুরু হয়েছে ‘সিজনাল উইন্টার স্প্রেড’। তবে এখানে এলে খেতেই হবে 'গ্যাংস্টার র্যাপার' এবং 'কিংপিনস'। প্রথমটি বেকনে মোড়া মুরগি, বারবিকিউ সস্-এ নাড়াচাড়া করে বানানো দারুণ এক উপাদেয় পদ। আর যাঁরা চিংড়ি ভালবাসেন, তাঁদের জন্য রয়েছে 'কিংপিনস'। বেক করা গলদা চিংড়ির সঙ্গে নানা রকম সব্জির স্যালাড এবং স্ম্যাশড পট্যাটোর যুগলবন্দি।
ক্যাফে অফবিট আপ দেয়ার
তরুণ প্রজন্ম এখন শহরের কোলাহলের মধ্যে থেকেও আকাশ ছুঁতে চাইছে। ক্যাফে অফবিট তেমনই একটি জয়েন্ট। শহরে থেকেও সূর্যাস্ত উপভোগ করার যেন আদর্শ জায়গা এইটি। তবে শুধু সূর্যাস্ত দেখলেই তো হবে না, পেটপুজোও করতে হবে। বন্ধুদের সঙ্গে এখানে এলে খেয়ে দেখতেই হবে 'গে-লে-গক'। যা আসলে দেখতে শিঙাড়ার মতো। কিন্তু ভিতরের পুরটি মাংসের। আবার শিঙাড়া খেতে না চাইলে চা বা কফির সঙ্গ দিতেই পারে 'নাচোস গ্র্যান্ড'।
এফিনগাট
কলকাতার বুকে অন্য রকম স্বাদের আরও এক ঠিকানা হল এই রেস্তরাঁ। এখানকার 'চিকেন পট পাই' বেশ বিখ্যাত এবং মুখ মিষ্টি করার জন্য রয়েছে 'বেকড্ আলাস্কা'। ভ্যানিলা আইসক্রিম এবং চকোলেট কেকের যুগলবন্দিতে ডুব দিতে গেলে এক বার অন্তত আসতেই হবে এখানে।