লক্ষ্মী হলেন ধনসম্পদের দেবী। ছবি : সংগৃহীত
এক বছর প্রতীক্ষার পর দুর্গাপুজোর ক’টা দিন আনন্দে মেতে ওঠেন সকলে। বিজয়ার পর সকলেরই একটু মনখারাপ হয়। কিন্তু দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই জৌলুসহীন, ফাঁকা মণ্ডপে লক্ষ্মীদেবীর আগমন ঘটে।
লক্ষ্মী হলেন ধনসম্পদের দেবী। তাই ধনসম্পদ লাভের আশায়, আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে প্রতি ঘরেই লক্ষ্মীপুজো হয়।
যে কোনও পুজোতেই ফল, মিষ্টি, খিচুড়ি, পাঁচমেশালি তরকারি, লুচি, পাঁচ রকম ভাজা, পায়েস ভোগ হিসাবে দেওয়ার চল আছে। কিন্তু লক্ষ্মীপুজোয় এই সব ভোগ ছাড়াও তালের ফোঁপল এবং নারকেলের বিভিন্ন মিষ্টি রাখতে হয়। আজকাল দোকানে সব কিনতে পাওয়া গেলেও, অনেকেই নারকেলের বিভিন্ন মিষ্টি নিজে হাতে বাড়িতেই তৈরি করেন।
আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে প্রতি ঘরেই লক্ষ্মীপুজো হয়। ছবি : সংগৃহীত
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোতে নারকেলের তৈরি কোন কোন মিষ্টি বানাতে পারেন?
১) নারকেলের নাড়ু
লক্ষ্মীপুজোর প্রসাদের প্রধান উপকরণই হল নাড়ু। সময়ের অভাবে এখন অনেকেই নাড়ু কিনে আনেন। কিন্তু বাড়িতে তৈরি নাড়ুর গন্ধ, স্বাদের কোনও তুলনা হয় না। নারকেল কুরে, তাতে ঘন গুড়ের পাক দিয়ে গোল গোল করে বলের আকারে গড়ে দেবীকে নিবেদন করুন।
২) নারকেল ছাপ সন্দেশ
মিহি করে নারকেল কুরে, তার সঙ্গে চিনি এবং ক্ষীর মিশিয়ে হালকা পাক দিয়ে, সামান্য ছোট এলাচ গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে রাখুন। অল্প গরম থাকতে থাকতেই সন্দেশের ছাপ তোলা কাঠের বা পাথরের ছাঁচে দিয়ে তৈরি করে নিন নারকেল ছাপ সন্দেশ।
লক্ষ্মীপুজোর প্রসাদের প্রধান উপকরণই হল নাড়ু। ছবি : সংগৃহীত
৩) চন্দ্রপুলি
নারকেল ছাপ সন্দেশের মতো উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় চন্দ্রপুলি। তবে দেখতে হয় অর্ধেক চাঁদের মতো। সেখান থেকেই এই মিষ্টির নাম হয়েছে চন্দ্রপুলি।
৪) নারকেলের তক্তি
গুড় দেওয়া নারকেল নাড়ুর যে মিশ্রণ বানিয়েছিলেন, সেটিই একটু কড়া করে পাক দিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে থালায় ঢেলে, উপরিভাগ হাত দিয়ে মসৃণ করে নিন। এ বার ছুরি দিয়ে বরফির আকারে কেটে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে নারকেলের তক্তি। কিন্তু খেয়াল রাখবেন গুড় যেন ধরে না যায়। তা হলে কিন্তু খেতে তিতকুটে লাগবে।