ক্যানভাসে শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তুলতে উদ্যোগী কলকাতার চিকিৎসকেরা। —প্রতীকী ছবি।
শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে উদ্যোগী চিকিৎসকেরা। স্টেথোস্কোপের বদলে হাতে রং-তুলি তুলে নিচ্ছেন তাঁরা। ৭৫ বছর পুরনো পার্ক সার্কাসের ‘ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থ’-এর আধুনিকীকণের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতেই শিল্পপ্রদর্শনীর আয়োজন করছেন চিকিৎসকেরা।
আগামী ২৭ (শনিবার) ও ২৮ (রবিবার) জানুয়ারি মেনকা সিনেমা হলের কাছে ‘গ্যালারি গোল্ড’-এ দেখা যাবে বিভিন্ন চিকিৎসকের হাতে আঁকা ছবি। প্রদর্শনীর নাম ‘চিত্রাবলী’। শিল্প প্রদর্শনীতে যোগ দেবেন রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য, অরুনিমা চৌধুরী, প্রবাল চাঁদ বড়াল, মনোজ মিত্র, চন্দ্র ভট্টাচার্য, অতীন বসাক, ব্রতীন খান, শেখর কর, শেখর রায়, সুব্রত দাস, সুকান্ত দাস, জগন্নাথ পাল, বাগেশ্রী দত্ত, সন্দীপ রায়, তওসিফ হক, কৌশিক রাহা, বিবেক রায়, অমর দাস, শুভঙ্কর সিংহের মতো শিল্পীরা। তাঁদের সঙ্গেই থাকবে চিকিৎসক অমিত বড়ুয়া, ভাস্বতী আচার্য, বি কে মনোচা, দেবযানী গুপ্ত, জয়তী সেনগুপ্ত, পার্থপ্রতিম গুপ্ত, সুমিতা সাহা, সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবি।
এই প্রদর্শনীর পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ, বি কে মানোচা, অরুণালোক ভট্টাচার্য, সুরূপা বসু, ভাস্বতী আচার্য, সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়তী সেনগুপ্ত, রোহিত কপূর। এ ছাড়াও কমিটিতে আছেন ডি পি সরকার, রাই বাগচী, সোমনাথ মুখোপাধ্যায়।
শিশুদের চিকিৎসায় নিয়মিত কাজ করে চলেছে ‘ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ট হেল্থ’। ৭৫ বছর পেরিয়েছে হাসপাতালের বয়স। এ বার আধুনিকীকরণ প্রয়োজন বলেই মত হাসপাতালের প্রেসিডেন্ট ও এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষের। তিনি বলেন, ‘‘চিকিৎসা পদ্ধতিতে উন্নয়নের জন্য রোজ নতুন নতুন যন্ত্রপাতি আসছে, যা রোগীদের দ্রুত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করছে। ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থেরও নতুন সব চিকিৎসা সামগ্রী ও যন্ত্রপাতির প্রয়োজন রয়েছে। হাসপাতালের বাড়িটিও পুরনো হয়ে গিয়েছে, তারও মেরামতির প্রয়োজন। আমারা হাসপাতালটিকে আরও বড় করার চিন্তাভাবনা করছি। আর এই সবটার জন্য প্রয়োজন অর্থ। বহু চিকিৎসক এই কাজের জন্য অনুদান দিচ্ছেন তো বটেই, সঙ্গে অনুদান সংগ্রহ করার জন্যও বিভিন্ন ভাবে উদ্যোগী হচ্ছেন। তেমনই এক উদ্যোগ হল ‘চিত্রাবলী’। শিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে হাতে রং-তুলি তুলে নিচ্ছেন শিল্পীদের পাশাপাশি চিকিৎসকেরাও।’’