হিয়া মুখোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
সময়ের সঙ্গে গীতা এবং স্বস্তিকের গল্প ছোট পর্দায় দর্শকের মন জয় করে নিয়েছে। তার প্রভাবও পড়েছে ধারাবাহিকের টিআরপি তালিকায়। বছরের শুরুতেই ধারাবাহিকটি টিআরপি তালিকার শীর্ষে। নেপথ্যে কোন রহস্য কাজ করছে?
টালিগঞ্জের ‘দাসানি ২’ স্টুডিয়োয় তখন শুটিংয়ের বিরতি। সবেমাত্র ফ্লোরে প্রবেশ করেছেন গীতা, অর্থাৎ হিয়া মুখোপাধ্যায়। ধারাবাহিকের প্রাপ্ত নম্বরে তিনি খুশি। বললেন, ‘‘আমাদের হাতে তো সবটা নেই। গল্পটাই আসল। সেটাই দর্শককে আরও আকৃষ্ট করে। খুব ভাল লাগছে।’’ একই কথা বললেন স্বস্তিক, অর্থাৎ কুণাল শীল। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের হৃৎস্পন্দনের মতোই টিআরপির ওঠাপড়া চলতে থাকে। তবে ভাল টিআরপি সব সময় আরও ভাল কাজের খিদে বাড়িয়ে দেয়।’’
গত কয়েক মাসে টিআরপি তালিকায় উপরের দিকেই থেকেছে এই ধারাবাহিক। সাফল্যের কারণ হিসেবে হিয়া আলাদা করে উল্লেখ করলেন কমেডি, সিরিয়াস দৃশ্য এবং অ্যাকশন দৃশ্যের কথা। হিয়ার কথায়, “গত এক সপ্তাহে এতগুলো কমেডি দৃশ্য এর আগে আমি করিনি।’’ তবে তাঁর মতে, ধারাবাহিকের প্রতিটি চরিত্রাভিনেতাই নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাই ধারাবাহিকও দর্শকের ভালবাসা কুড়োচ্ছে। হিয়া বললেন, ‘‘পদ্ম, কৃপাণ, মেহেক চরিত্রগুলো আমার নিজেরও খুব পছন্দের। বিশেষ করে, আমার শ্বশুরমশাইয়ের চরিত্রে সুপ্রিয়দা (সুপ্রিয় দত্ত) তো অসাধারণ অভিনেতা। আমার কাছে খুব বড় অনুপ্রেরণা তিনি।’’
এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে অনুরাগীদের কাছেও এখন জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলে মনে করেন কুণাল। বললেন, ‘‘সকালে আমি লেকের দিকে হাঁটতে যাই। বহু মানুষ এসে কথা বলেন। তাঁদের কাছে আমি শুধুই ‘স্বস্তিকবাবু’। খুব ভাল লাগে। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।’’
ধারাবাহিকের কোনও পর্ব ভাল হয়েছে কি না, সেটা হিয়া এবং কুণাল বুঝতে পারেন সমাজমাধ্যম থেকেও। অভিনেত্রী বললেন, ‘‘কোনও দৃশ্য ভাল হলে তখন দেখি সেটা নিয়ে সমাজমাধ্যমে লেখা হয়। আলাদা রিল তৈরি হয়। বুঝতে পারি, আমরা ঠিক পথেই এগোচ্ছি।’’
নতুন বছরের শুরুতেই ধারাবাহিক ভাল ফল করেছে। এই ধারাকে বজায় রাখতে চান দু’জনেই। স্নেহাশিস চক্রবর্তীর তত্বাবধানে নিজেদের চরিত্রকে আরও শক্ত এবং পরিণত ভাবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হিয়া এবং কুণাল। গীতা তার শ্বশুরমশাইকে আগামী দিনে বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারবে কি না, সেই প্রশ্নকেই সামনে রেখে এগোবে ধারাবাহিকের আখ্যান।