ভবিষ্যতে সব স্মার্টফোনের জন্য একই চার্জার তৈরি করতে হবে বৈদ্যুতিন যন্ত্র নির্মাতা সংস্থাগুলিকে। —ফাইল চিত্র
সব ধরনের ‘স্মার্ট’ যন্ত্রে ব্যবহার করতে হবে একই ধরনের চার্জার। ফলে ভবিষ্যতে সব স্মার্টফোনের জন্য একই চার্জার তৈরি করতে হবে বৈদ্যুতিন যন্ত্র নির্মাতা সংস্থাগুলিকে। বুধবার বিভিন্ন মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের নিয়ে গড়া একটি টাস্ক ফোর্সের বৈঠকের পর এমনই জানালেন উপভোক্তা বিষয়ক সচিব রোহিত কুমার সিংহ। আমলারা ছাড়াও বৈঠকে বিভিন্ন বণিক সংগঠন ও আইআইটির গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।
বেশ কিছু দিন ধরেই সব ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রের জন্য ২ ধরনের চার্জার তৈরি বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবছিল সরকার। স্মার্ট ফোনের জন্য এক ধরনের আর অল্প দামের যন্ত্রের জন্য এক ধরনের চার্জার আনার পরিকল্পনা করা হয়। বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যে ‘ইউএসবি-টাইপ সি’ চার্জার ব্যবহৃত হয়, সব ‘স্মার্ট’ যন্ত্রের জন্যই সেই চার্জার পোর্ট ব্যবহার করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে।
নামী সংস্থাগুলির মধ্যে এই নিয়মে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে আইফোন নির্মাতা সংস্থা অ্যাপলের উপর। —ফাইল চিত্র
কিছু দিন আগেই একই ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হয় ইউরোপেও। ২০২৪ সালের মধ্যে সব ফোনের ক্ষেত্রে ‘ইউএসবি-টাইপ সি’ চার্জার পোর্ট বাধ্যতামূলক হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ৪ অক্টোবর ইইউ সংসদে পাস হওয়া সেই প্রস্তাবে বলা হয়, সব ফোনের জন্যই একই ধরনের চার্জার ব্যবহার করতে হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ২৭টি দেশে। শুধু ফোনই নয়। মোট ১৩ রকম যন্ত্রের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম আসতে চলেছে ইউরোপে। ইয়ারবাড, হেডফোন ও বই পড়ার ই-রিডারের মতো যন্ত্র চার্জ দেওয়ার জন্য একই ধরনের চার্জার ব্যবহার করতে হবে। তবে ভারতে কোন কোন যন্ত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি এখনও।
নামী সংস্থাগুলির মধ্যে এই নিয়মে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে আইফোন নির্মাতা সংস্থা অ্যাপলের উপর। প্রভাব পড়বে স্যামসং ও হুয়ায়েই-র মতো সংস্থার উপরেও। নিয়ম কার্যকর হলে বদল আনতে হবে তাঁদের একাধিক ফোন ও চার্জারে। একই ধরনের চার্জরে লাভ হবে গ্রাহকদের। ফোন বদল করলেও চার্জার হাতড়ে বেড়াতে হবে না। তবে কবে থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে তা এখনও জানানো হয়নি।