জানেন, ২০২১ সালে কোন রাজ্যে একটিও বাল্যবিবাহ হয়নি? ছবি: রয়টার্স।
‘‘দ্য ইউএনএফপিএ-ইউনিসেফ গ্লোবাল প্রোগ্রাম টু এন্ড চাইল্ড ম্যারেজ’’ হল রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বাধীন প্রথম যৌথ উদ্যোগ, যা কিশোর-কিশোরীদের বিবাহ যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে। বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য ইউএনএফপিএ-ইউনিসেফের যৌথ কর্মসূচির স্টিয়ারিং কমিটির একটি দল এখন ভারত সফরে এসেছে। কমিটির সদস্যদের মতে, বাল্যবিবাহ কমাতে ভারতের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এখন তাঁরা ওড়িশায়। তাঁদের পরবর্তী গন্তব্য হবে দিল্লি।
কমিটির সদস্যদের মতে, ভারতে বাল্যবিবাহের প্রবণতা অনেকটাই কমেছে। যা ২০০৫ সালে ৪৭.৪ শতাংশ ছিল ২০২১ সালে তা ২৩.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে৷ ভারতের অগ্রগতির ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় বাল্যবিবাহ প্রায় ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে৷ তবে কোভিড পরিস্থিতি কিন্তু বিষয়টি আবার নাগালের বাইরে নিয়ে যেতে পারে। কোভিড পরিস্থিতি এই দেশের স্বাস্থ্য, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এর আঁচ পড়তে পারে বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রেও। কমিটির সদস্যদের আশঙ্কা, কোভিডের ফলে বিশ্বব্যাপী আরও এক কোটি শিশু ‘বধূ’ হতে পারে। তা হলে আবারও চিন্তার বাড়বে । ভারত সরকারকে কড়া হাতে তার মোকাবিলা করতে হবে।
ভারতে ১.৯ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় ১৮ বছরে পৌঁছনোর আগেই। প্রতীকী ছবি।
দেশে বাল্যবিবাহ সবচেয়ে বেশি কোন রাজ্যে? সাম্প্রতিক জনসংখ্যার উপর করা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট দফতরের সমীক্ষার ফল কী বলছে? ঝাড়খণ্ডে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটে বলে জানাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সমীক্ষা। ঝাড়খণ্ডে ৫.৮ শতাংশ মেয়েদের বিয়ে হয়ে যায় শিশু অবস্থাতেই। যা গোটা দেশে সবচেয়ে বেশি।
সমীক্ষাটি অনুযায়ী, ভারতে ১.৯ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় ১৮ বছরে পৌঁছনোর আগেই। এই সমীক্ষায় সবচেয়ে ভাল অবস্থায় রয়েছে কেরল। সেখানে এক জন মেয়েরও ১৮ পেরোনোর আগে বিয়ে হয় না। আর ঝাড়খণ্ডে প্রতি ১০০ মেয়ের মধ্যে ৫.৮ জনের বিয়ে হয় বয়স ১৮ পেরোনোর আগেই।