রান্নাঘরের ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়েই নানা কাজ। ছবি: ফ্রিপিক।
আনাজপাতির খোসা থেকে ডিমের খোলা, এমনকি ব্যবহারের পর পড়ে থাকা চা-পাতা, চাল-ডাল ধোয়া জল— সবই কিন্তু কাজে লাগানো যায়। শুধু জানতে হবে তার নিয়মকানুন। এতে এক দিকে যেমন হেঁশেলের বর্জ্য কমবে, তেমনই অপ্রয়োজনীয় জিনিসও হয়ে উঠবে প্রয়োজনীয়।
রকমারি পদ: আলু, লাউয়ের খোসা ফেলে দিচ্ছেন? বাদ যাচ্ছে শীতের ফুলকপির গোড়া থেকে পাতা, কিংবা কাঁচকলার খোসা? ফেলে না দিয়ে তা দিয়ে বানিয়ে ফেলুন রকমারি পদ। আলু, লাউয়ের খোসা পোস্ত দানা ছড়িয়ে বহু বাড়িতেই খাওয়া হয়। ফুলকপির পাতা বেটেও লোভনীয় পদ রাঁধা যায়।
স্যুপ: রকমারি সব্জির খোসা যদি না রাঁধতে চান তা হলে সে সব ফুটিয়ে সব্জির ব্রথ বানিয়ে ফেলুন। সব্জি সেদ্ধ করা জল স্যুপ থেকে রকমারি রান্নায় দিলে স্বাদ বেড়ে যায়। বদলে খোসা ভাল করে ধুয়ে তা-ও ব্যবহার করতে পারেন। ঝোলে, স্যুপে, তরকারিতে যেখানে ইচ্ছা।
সার: সব্জির খোসা একটি ঝুড়িতে জমাতে শুরু করুন। রোদে ভাল করে শুকিয়ে তা গুঁড়ো করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে জৈব সার। চায়ের পাতাও ফেলার দরকার নেই। গাছের গোড়াতে ঢেলে দিন। তবে চায়ে দুধ-চিনি দেওয়ার পর সেই চা-পাতা নয়, তার আগেই চা-পাতা সরিয়ে নিতে হবে। একই ভাবে চাল ধোয়া, ডাল ধোয়া জলও গাছের গোড়ায় ঢেল দিতে পারেন।
পরিষ্কার
চা পাতা ফেলে দেওয়ার আগে সব্জি কাটার বোর্ড তা দিয়ে ঘষে নিতে পারেন। এতে বোর্ডটি শুধু পরিষ্কার হবে তা-ই নয়, সব্জির গন্ধও চলে যাবে।