ফোনের যত্ন নিন। ছবি: সংগৃহীত।
বছর দুয়েক আগে জন্মদিনে নিজেকেই নিজে একটা দামি স্মার্টফোন উপহার দিয়েছিলেন। সেই ফোন তিন বছরে পা দেওয়ার আগেই দেহ রেখেছে। এককাঁড়ি টাকা দিয়ে ফোন কিনে এত তাড়াতাড়ি বাতিলের খাতায় চলে গেলে খারাপ তো লাগবেই! ফোন অমর নয়। এক বার কিনলে আজীবন দারুণ ভাবে সঙ্গে থেকে যাবে, এমন ভাবনা একেবারেই অমূলক। তবে তাই বলে সঞ্চয়ের অনেকটা অংশ দিয়ে কেনা সাধের স্মার্টফোনটি অন্তত ৩-৪ বছরও টিকবে না, সেটাও মেনে নেওয়া যায় না। প্রতিটি স্মার্টফোনের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ থাকে। সেই দিনটি আসে যখন ফোনের সফ্টওয়্যার আপডেট নেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। আইফোনের ক্ষেত্রে আপডেট নেওয়ার সময়সীমা লম্বা হলেও, গুগল অর্থাৎ স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে বছর তিনেকের মাথায় এটা হতো। তবে এ বার তিন বদলে গিয়ে সাত হতে চলেছে। অর্থাৎ ৭ বছর পর্যন্ত বিনা আপডেটে দিব্যি কাজ করবে স্মার্টফোন। স্যামস্যাং এবং গুগ্ল এর মতো অ্যান্ড্রডয়েড ডিভাইস নির্মাতা অ্যাপল সংস্থার মতো তাদের ফোনগুলিকে দীর্ঘায়ু করে তুলতে বদ্ধপরিকর। সেটা এমনি এমনি হবে না। কী ভাবে করতে হবে?
ফোনের ব্যাটারি পরিবর্তন
ব্যাটারি হল ফোনের হৃদ্যন্ত্র। ফোন ভাল রাখতে তাই ব্যাটারির যত্ন নিতে হবে। ফোন কেনার পর নতুন ব্যাটারি বছর দুয়েক পর্যন্ত দারুণ পরিষেবা দেয়। কিন্তু তার পর থেকেই বিগড়ে যেতে শুরু করে। তাই দু’বছর অন্তর ফোনের ব্যাটারি পরিবর্তন করা জরুরি।
মজবুত ফোনের ‘গ্লাস’
ফোন হাত থেকে অসাবধানে ফেলে দেওয়ার প্রবণতা থাকলে সুরক্ষার ‘গ্লাসটি’ হওয়া চাই মজবুত। অনেকেরই মাঝেমাঝেই ফোন মাটিতে পড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে ভাল মানের ‘গ্লাস’ ফোনে লাগানো জরুরি, যাতে মাটিতে আছাড় খেয়েও না ভাঙে। কারণ বার বার ফোনের ‘গ্লাস’ বদলালে ফোন নষ্ট হয়ে যাওয়ার একটা ঝুঁকি থাকে।
পরিষ্কার রাখা
রাস্তায় থাকুন অথবা বাড়িতে— অধিকাংশ সময় ফোন হাতে থাকে। চার্জ দেওয়ার জায়গা, হেডফোন গোঁজার স্থান দিয়ে অনেক সময় ধুলোবালি ফোনের মধ্যে চলে যায়। ধুলোবালি জমে ফোন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই ফোনে একটা ‘কভার’ পরিয়ে রাখতে পারলে ভাল।
উল্লেখ্য, নতুন ফোন কেনার সময় অনেকেই ভবিষ্যতে কতটা সুবিধা পাওয়া যাবে, ,সেটা যাচাই করে কেনেন। কিন্তু এ বিষয়ে যাঁরা দক্ষ, তাঁদের মত ফোনের আপগ্রেড হোক কিংবা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তা সাম্প্রতিক সময়ে কতটা পাওয়া যাচ্ছে। সংস্থার নীতি যাই হোক, ফোন কেনার সময় এই বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে।