মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সত্যিই কাজ করছেন তা কোন কৌশলে কর্তৃপক্ষের নজরে আনবেন? ছবি: সংগৃহীত।
কর্মক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতনের মন পাওয়া সহজ নয়। বহু পরিশ্রম করে, ভাল কাজ করার চেষ্টা করেও অনেক সময়ে প্রশংসা পাওয়া যায় না। কাজের স্বীকৃতি পেলে অনেক সময়ে কাজ করার ইচ্ছেটাও দ্বিগুণ হয়। কর্মক্ষেত্রে এই প্রত্যাশা রাখলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা পূরণ হয় না। উপরন্তু, বেশি কাজ করেও ঊর্ধ্বতনের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। তাতে ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস কমতে থাকে। কাজের প্রতি একটা তীব্র অনীহাও চলে আসে। সত্যি কাজ করলে তা আলাদা করে বুঝিয়ে দিতে হয় না। অনেকেই এই দর্শন মেনে চলেন। তবে এই প্রতিযোগিতার বাজারে অফিসের জন্য আপনার যতটুকু অবদান, তা কখনও কখনও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হয় বইকি। তবে হঠকারিতায় আবার মস্ত বড় ভুল হয়ে যেতে পারে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সত্যিই কাজ করছেন তা কোন কৌশলে কর্তৃপক্ষের নজরে আনবেন?
দিনের শেষে কী কী কাজ করলেন, তার একটা খতিয়ান বসকে দিন। ছবি: সংগৃহীত।
কাজের খতিয়ান দিন
আপনি কী কাজ করছেন, কতটা কাজ করছেন, তা আপনার বসের নখদর্পণে। এই ধারণা প্রথমেই মন থেকে মুছে ফেলুন। কারও পক্ষেই অধস্তন কর্মীর সমস্ত কাজ সম্পর্কে জানা সম্ভব নয়। তবে জানানোর দায়িত্বটা আপনাকেই নিতে হবে। সকালে অফিসে ঢুকেই সারা দিনের কাজের পরিকল্পনা জানিয়ে দিন। দিনের শেষে কী কী কাজ করলেন, তার একটা খতিয়ান বসকে দিন।
সহকর্মীর সাহায্য নিতে পারেন
সব সময়ে নিজের কথা নিজের মুখে বলতে বাঁধে। এই আড়ষ্ঠতা কাটিয়ে উঠতে পারলে ভাল। তবে সকলে তা পারেন না। সে ক্ষেত্রে আপনি যে সত্যিই হাড়ভাঙা খাটুনি করছেন, তা বস পর্যন্ত পৌঁছে দিতে সহকর্মীর সাহায্য নিতে পারেন। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আপনার কাজের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে জানাতে পারেন। অন্য এক জনের থেকে আপনার কাজ সম্পর্কে দু’-চারটে ভাল কথা শুনলে কর্তৃপক্ষেরও বিশ্বাস করতে সুবিধা হবে। একই ভাবে আপনাকেও সহকর্মীর প্রতি একই দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবেন না
দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সকলে পারেন না। এতে খানিকটা দক্ষতাও লাগে। কিন্তু আপনি যখন কোনও একটি দায়িত্বে আছেন, তখন চটদলদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আপনাকে তৈরি করতে হবে। আপনি যদি সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন, তা হলে আপনাকে কোনও কাজের দায়িত্ব দিতে দু’বার ভাববেন। সেই সুযোগ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে না দেওয়াই শ্রেয়।