কোলাজেন উৎপাদনের হার কমতে থাকলে, ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে। ছবি: সংগৃহীত।
ত্বকের উপর যাতে বয়সের ছাপ না পড়ে, তার জন্য ‘অ্যান্টি-এজিং’ ক্রিম মাখেন। বয়স ধরে রাখতে এক কালে অভিনেত্রীরা কোলাজেন দেওয়া ওষুধ খেতেন, ইঞ্জেকশন নিতেন। কিন্তু এই কোলাজেন আসলে কী, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। কোলাজেন আসলে এক ধরনের প্রোটিন। যা শরীরের মধ্যেই তৈরি হয়। শারীরবৃত্তীয় নানা রকম কাজকর্ম পরিচালনা করার জন্য এই প্রোটিনের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবে এই প্রোটিন উৎপাদনের ক্ষমতা কমতে থাকে। যার ফলে ত্বক অকালেই কুঁচকে যায়, বলিরেখা পড়ে। এখন শুধু ওষুধ বা ইঞ্জেকশন নয়, সাপ্লিমেন্ট হিসাবেও কোলাজেন পাওয়া যায়। তবে সেই সব জিনিস বেশ খরচসাপেক্ষ এবং রাসায়নিক দিয়ে তৈরি। তা থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে সামান্য কিছু উপকরণ দিয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন সাপ্লিমেন্ট কিন্তু বাড়িতেই তৈরি করে ফেলা যায়।
বাড়িতে কোলাজেন পাউডার তৈরি করতে কী কী প্রয়োজন হয়?
উপকরণ:
মুরগির মাংসের হাড় বা মাছের আঁশ: ১ কেজি
আ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার: ২ টেবিল চামচ
জল: হাড় সেদ্ধ করার জন্য
পদ্ধতি:
১) যদি মাংসের হাড় ব্যবহার করেন, তা হলে সেগুলি আগে ভাল করে ধুয়ে মাইক্রোওয়েভে রোস্ট করে নিন। মাছের আঁশ ব্যবহার করলে তা যেন ভাল করে ধুয়ে নেওয়া হয়।
২) এ বার একটি বড় পাত্রে হাড় বা মাছের আঁশ সেদ্ধ করতে দিন। এই সময়ে গ্যাসের আঁচ একেবারে কমিয়ে রাখতে হবে।
৩) ফুটতে শুরু করলে এর মধ্যে মিশিয়ে দিন ভিনিগার।
৪) চার থেকে ছ’ঘণ্টা এই অবস্থায় ফুটতে দিন।
৫) অন্য একটি পাত্রের মুখ পরিষ্কার সুতির কাপড় দিয়ে আটকে দিন। ফুটন্ত জল থেকে হাড় বা মাছের আঁশ ছেঁকে নিতে সুবিধা হবে।
৬) এ বার ওই তরল স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে, সারা রাত ফ্রিজে রেখে দিন।
৭) পরের দিন সকালে ফ্রিজ থেকে বার করে উপর থেকে জমাট বাঁধা চর্বি, আলাদা করে তুলে নিন।
৮) এ বার ওই জেলিজাতীয় থকথকে পদার্থটি বেকিং শিটের উপর রেখে, অভেনে ঢুকিয়ে দিন। পুরো বিষয়টি থেকে জল শুকিয়ে নেওয়ার জন্যে একেবারে কম আঁচে রেখে দিন।
৯) যত ক্ষণ না পুরোপুরি জল শুকিয়ে যাচ্ছে, তত ক্ষণ অপেক্ষা করুন।
১০) এ বার ওই শক্ত ডেলার মতো বস্তুটি হামানদিস্তা বা গ্রাইন্ডারে দিয়ে গুঁড়িয়ে নিন।
১১) দীর্ঘ দিন তা সংরক্ষণ করার জন্য বায়ুরোধী কাচের শিশিতে ভরে রাখুন।