শারীরিক নানা সমস্যার কারণে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
আবহাওয়া বদলালে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। সে শীতকালই হোক বা গ্রীষ্মকাল— চুলের উপর তার প্রভাব পড়বেই। তা ছাড়া ধুলো, ধোঁয়া কিংবা দূষণের কারণেও চুল পড়তে পারে। চুল পড়া রোধে নানা রকম ওষুধ, টোটকা ব্যবহার করেন অনেকে। কিন্তু তাতে যদি কাজ না হয়, তখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। চিকিৎসকেরা বলছেন, শারীরিক নানা সমস্যার কারণে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। জীবনযাপনে পরিবর্তন এলেও তার প্রভাব পড়ে চুলে। অনেকেই হয়তো জানেন না, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলেও কিন্তু চুল ওঠার পরিমাণ বেড়ে যায়। ডায়াবিটিস বা রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া বিপাকহার সংক্রান্ত এক ধরনের সমস্যা। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে তা বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপর প্রভাব ফেলে। কিন্তু চুলের উপর তার প্রভাব ঠিক কেমন, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। ঠিক সে কারণেই চুল ঝরে পড়ার উৎস খুঁজে পেতেও সমস্যা হয়।
রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে চুল পড়া বেড়ে যায় কেন?
১) রক্ত সঞ্চালন
দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে গোটা শরীরে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। চুলের গোড়ায় অর্থাৎ, ফলিকলেও রক্ত পৌঁছয় না। ফলত চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায়। চুল ঝরার পরিমাণ বাড়তে থাকে।
২) হরমোনে হেরফের
রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে তা শরীরে বিভিন্ন হরমোনের মাত্রায় হেরফের ঘটায়। যা অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেশিয়া হওয়ার অন্যতম কারণ। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই এই সমস্যা হতে পারে।
৩) প্রদাহ
ডায়াবিটিসের সঙ্গে প্রদাহের নিবিড় যোগ রয়েছে। নতুন চুল গজানো থেকে ঝরে পড়া একটি চক্রে আবর্তিত হয়। শরীরে প্রদাহের মাত্রা বেড়ে গেলে চুলের স্বাভাবিক চক্রের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। ফলে নতুন চুল গজানোর চেয়ে ঝরে পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়।