চটজলদি কোনও কৌশলে মদের গন্ধ দূর করা কার্যত অসম্ভব। ছবি: সংগৃহীত
বড়দিনে অনেকেই মদ্যপান করেন। কিন্তু এখনও মদ্যপানকে ভাল চোখে দেখেন না বহু মানুষ। মদের গন্ধেও বিরক্ত হন অনেকে। কিন্তু মদ খাওয়ার পর অ্যালকোহলের গন্ধ থেকে রেহাই পাওয়া সহজ নয়। কারণ আর পাঁচটা খাবারের মতো মদের গন্ধ কেবল মুখগহ্বর থেকে নির্গত হয় না। নিশ্বাসের সঙ্গে দেহের ভিতর থেকে আসে।
পান করার খানিক পর পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্ত্র থেকেই অ্যালকোহল রক্তে মিশতে শুরু করে। অন্যান্য তরলের থেকে অ্যালকোহলের বিপাকও কিছুটা আলাদা। মূলত লিভারের মাধ্যমে অ্যালকোহল বিপাক প্রক্রিয়াটি সংঘটিত হয়। কাজেই চটজলদি কোনও কৌশলে মদের গন্ধ দূর করা কার্যত অসম্ভব। বরং চেষ্টা করা যেতে পারে যাতে অন্য কোনও ভাবে সেই গন্ধটিকে ঢেকে দিতে।
১। অ্যালকোহল দিয়ে তৈরি কোনও মাউথওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করে নিন। সঙ্গে চিবিয়ে নিন মিন্ট জাতীয় চকোলেট। এতে মদের গন্ধ আলাদা করে বোঝা যাবে না। সুযোগ পেলে মিন্ট দেওয়া কোনও মাজন দিয়ে ব্রাশ করে নিতে পারেন। তাতেও ঢেকে যাবে মদের গন্ধ।
২। যে হেতু রক্তে মিশে যায়, তাই ত্বক থেকেও অ্যালকোহলের গন্ধ নির্গত হতে পারে। তাই মদ্যপানের পর চট করে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করে নিন। গায়ে মেখে নিতে পারেন সুগন্ধি।
৩। মদ্যপানের পরিকল্পনা থাকলে মৌরি বা জিরে একটু শুকনো খোলায় ভেজে রাখুন আগে থেকে। রাতে মদ্যপানের পর একটুখানি মৌরি বা জিরে চিবিয়ে নিতে পারেন, গন্ধ অনেকটাই দূর হবে।
মদ্যপান করার সময়েও সংযম বজায় রাখাই বাঞ্ছনীয়। ছবি: সংগৃহীত
৪। কাঁচা পেঁয়াজ বা রসুন চিবিয়ে নিতে পারেন মদ্যপানের পর। এই টোটকাটি অনেকের পছন্দ না-ও হতে পারে। কিন্তু যে হেতু রসুন ও পেঁয়াজের নিজস্ব গন্ধ রয়েছে, তাই তাতে সাময়িক ভাবে ঢেকে যেতে পারে মদের গন্ধ।
৫। কফি খেতে পারেন একটু কড়া করে। কফির কড়া গন্ধও সাময়িক ভাবে ঢেকে দিতে পারে মদের গন্ধ। তবে মনে রাখবেন, কফিতে কিন্তু জলশূন্যতা তৈরি হতে পারে দেহে। মদ্যপানের পর জলশূন্যতা তৈরি হলে গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে।
মনে রাখা দরকার, শরীর থেকে অ্যালকোহল বেরিয়ে যাওয়া এমন একটি প্রক্রিয়া, যা নিজের নিয়মেই হয়। কিন্তু অ্যালকোহলের মাত্রা বেশি হয়ে গেলে শুধু গন্ধ নয়, শারীরিক ভাবেও তা নানা বিপদ ডেকে আনতে পারে। বিশেষ করে রাস্তাঘাটে চলাচল করার সময় ঘটে যেতে পারে বড় বিপদ। তাই মদ্যপান করার সময়েও সংযম বজায় রাখাই বাঞ্ছনীয়।