সয়ার মুখরোচক পদ। ছবি: সংগৃহীত।
মাছ, মাংস, ডিম খান না। শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম পরিচালনা করতে জরুরি প্রোটিনের জোগান অব্যাহত রাখতে হবে। তাই বেশির ভাগ দিনই আলু-সয়াবিনের তরকারি খান। সয়াবিনে আইসোফ্ল্যাভেন ও লেসিথিন নামক দু’টি অত্যন্ত পুষ্টিকর উপাদান থাকে, যা আমাদের হার্ট ভাল রাখে। একটা বয়সের পর মেয়েদের ঋতুস্রাব বন্ধ হয়। সেই সময়ে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। বাইরে থেকে হরমোনের ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি, ডায়েটে সয়াবিন রাখতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। কারণ, ফাইটোইস্ট্রোজেনের উৎস হিসেবেও সয়াবিন বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু রোজ এই এক খাবার খেতে কাঁহাতক ভাল লাগে? তাই স্বাদবদল করতে বাড়িতেই তৈরি করে ফেলতে পারেন সয়াবিনের ভিন্ন তিন পদ।
১) স্টার-ফ্রাই সয়া
শীতের বাজারে বিভিন্ন সব্জি পাওয়া যায়। সামান্য তেল দিয়ে ছোট ছোট করে কাটা লাল-হলুদ বেল পেপার, ব্রকোলি, গাজর, বিট, জ়ুকিনি, ভুট্টার দানা, পেঁয়াজ, রসুন কড়াইতে নাড়াচাড়া করে নিন। তার পর সেদ্ধ করে, জল ঝরিয়ে রাখা সয়া বড়ি দিয়ে আবার কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করে নিন। উপর থেকে গোলমরিচ গুঁড়ো, নুন ছড়িয়ে নিতে পারেন।
শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে সয়াবিন। ছবি: সংগৃহীত।
২) সয়া স্যালাড
শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে সয়াবিন। বিভিন্ন ধরনের সব্জি ভেজানো বিন্স-এর সঙ্গে সেদ্ধ করা সয়া কুচি মিশিয়ে নিন। তার পর উপর থেকে অলিভ অয়েল, অরিগ্যানো, প্যাপেরিকা ছড়িয়ে নিলেই তৈরি স্যালাড।
৩) গ্রিল্ড সয়া কবাব
মাংসের কবাব তৈরি করার মতো করেই তৈরি করতে পারেন গ্রিল্ড সয়া কবাব। জল ঝরানো দইয়ের মধ্যে নানা রকম মশলা দিয়ে সয়াবিন ম্যারিনেট করে রাখুন কিছু ক্ষণ। তার পর কাঠির মধ্যে ডুমো ডুমো করে কাটা পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, বেল পেপার এবং ম্যারিনেট করা সয়াবিন সাজিয়ে নিন। সামান্য অলিভ অয়েল স্প্রে করে সেঁকেও নিতে পারেন। আবার বেক করেও খেতে পারেন। বাড়িতে যদি এয়ার ফ্রায়ার থাকে, তা দিয়েও কাজ হবে।