কোরিয়ান রাইস ওয়াটার তৈরি করুন বাড়িতেই। ছবি: সংগৃহীত।
ত্বকচর্চায় কোরিয়ান রাইস ওয়াটার ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দাম দিয়ে বিদেশি প্রসাধনী সংস্থার ক্রিম, টোনার কেনার ইচ্ছে যে হয়নি, তা নয়। তবে চাল তো অত্যন্ত সহজলভ্য একটি জিনিস। ‘কোরিয়ান প্রসাধনী’ হিসেবে যতই বিখ্যাত হোক না কেন, চাল ভেজানো জল তৈরি করা খুব কঠিন হওয়ার কথা নয়। তা হলে তো এক বার বাড়িতেই তৈরি করে দেখা যেতে পারে।
বাড়িতে কোরিয়ান রাইস ওয়াটার তৈরি করতে গেলে কী করতে হবে?
উপকরণ
চাল (যে কোনও রকমের): ১ কাপ
জল: ২ কাপ
পদ্ধতি
১) প্রথমে পরিষ্কার জলে চাল ধুয়ে নিন, যাতে উপর থেকে ধুলোর স্তর সরে যায়।
২) এ বার পরিষ্কার পাত্রে ধুয়ে রাখা চাল ভিজিয়ে রাখুন।
৩) আধ ঘণ্টা পর হাত দিয়ে চালগুলো একটু চটকে নিন।
৪) অন্য একটি পাত্রে ছাঁকনির সাহায্যে চাল থেকে জল আলাদা করে নিন।
৫) অনেকেই এই চাল ভেজানো জল ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা ওই অবস্থায় রেখে দেন। এই পদ্ধতিতে চাল ভেজানো জলের গুণ আরও বাড়িয়ে তোলা যায়।
৬) যে পাত্রে ৪৮ ঘণ্টা চাল ভেজানো জল রেখে দিয়েছিলেন, সেখান থেকে সরিয়ে পরিষ্কার, বায়ুরোধী, পরিষ্কার একটি পাত্রে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন।
ত্বকচর্চায় কোরিয়ান রাইস ওয়াটার ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ছবি: সংগৃহীত।
ত্বকে যত্নে কী ভাবে ব্যবহার করবেন চালের জল?
১) ফেসওয়াশের বদলে চাল ভেজানো জল দিয়ে মেকআপ তুলে ফেলতে পারেন। ত্বক যদি অতিরিক্ত শুষ্ক হয়, সে ক্ষেত্রে চাল ভেজানো জলের মধ্যে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।
২) আবার, মুখ ধোয়ার পর টোনার হিসেবে চাল ভেজানো জল ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের পিএইচ–এর ভারসাম্য রক্ষা করতে, ত্বককে মসৃণ করে তুলতে ব্যবহার করতে পারেন এই টোটকা।
৩) মুখের আর্দ্রতা ধরে রাখতে দামি ‘হাইড্রেটিং ক্রিম’ মাখেন অনেকেই। তার বদলে যদি মধু কিংবা অ্যালো ভেরার সঙ্গে চাল ভেজানো জল মিশিয়ে মাখতে পারেন, দারুণ কাজ হবে।